Sylhet Today 24 PRINT

তরমুজের বিষাক্ত রঙ সনাক্তের পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৯ মে, ২০১৭

তরমুজের বিষাক্ত রঙ সনাক্তকরণের সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নীলুফার নাহারের তত্ত্বাবধায়নে দুই তরুণ গবেষক তানহাউল ইসলাম এবং আহসান হাবীব খন্দকার এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। গবেষণা কাজে আরো সম্পৃক্ত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব এবং মো. কামরুল হাসাান।

তানহাউল ইসলাম জানান, তরমুজের মধ্যে কেমিক্যাল রঙ মিশিয়ে লাল করা হয়ে থাকে। সহজে চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে তরমুজ থেকে বিষাক্ত রঙ শনাক্ত করা সম্ভব হয়। মেশিনের মধ্য দিয়ে তরমুজ এবং পানি আলাদা করা হয়ে থাকে। কিন্তু লাল রঙ যেহেতু তরমুজের পানির মধ্যে দ্রবীভুত থাকে, তাই সেটা পানিতে চলে যায়, তরমুজ আলাদা হয়।

চতুর্থ বর্ষের প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক নীলুফার নাহার তত্ত্বাবধায়নের এটি করা হয়েছে বলে জানান তানহা।

বিভাগের প্রভাষক ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. কামরুল হাসান বলেন, বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যায় তাতে দুই ধরণের লাল রঙের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে তরমুজের ভেতর অংশ বেশি লাল দেখায়।

এই লাল রঙ ক্ষতিকর জানিয়ে তিনি বলেন, সেন্ট্রিফিউজ নামে এক ধরণের মেশিন, যা মিনিটে চার হাজার বার ঘুরে। এই মেশিনে তরমুজ কেটে দিলে তরমুজ আর পানি আলাদা হয়ে যায়। বিষাক্ত রঙ পানিতে চলে যায়, যদি তরমুজে বিষাক্ত রঙ মেশানো থাকে তাহলে পানির রঙ হবে লাল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.