Sylhet Today 24 PRINT

বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব বদলে দেবে লিডিং ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১১ নভেম্বর, ২০১৭

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনাভার্সিটি। এপর থেকে সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম সফল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে এটি।

বর্তমানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ৫ হাজার শিক্ষর্থী রয়েছেন। আর শিক্ষক রয়েছেন ১৩০ জন। এছাড়া আরো ৩০ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন। এবছর লিডিং ইউনিভার্সিটিতে চালু হয়েছে হোটেল ম্যানেজমেন্ট নামের নতুন একটি অনুষদ। যা সিলেটে সর্বপ্রথম। সিলেটে হোটেল ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতেই এ বিভাগ খোলা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিস্টরা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহণের জন্য নগরীতে ৪টি বাস চালু রয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আবাসিক হল করার পরিকল্পনার কথাও জানান সংশ্লিস্টরা।

লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডেও সম্পৃক্ত রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান জানান, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজের জন্য ১২টি সংগঠন রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে। এদের মধ্যে কালচারাল ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ব্যান্ড অর্ফেয়াস, ব্যান্ড কম্যুইনিটির অন্যতম।

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১০টি ডিপার্টমেন্ট। বিজ্ঞান অনুষদ, গবেষণা ও লাইব্রেরী ও ই-লাইব্রেরীও রয়েছে এই ইউনিভার্সিটিতে। আর শর্ত মেনে এরই মধ্যে কামাল বাজারে নির্মান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। এছাড়া নগরীতে রয়েছে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস হলেও সুরমা টাওয়ারস্থ ক্যাম্পাস থেকেই মূলত সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সিলেট নগরীতে অস্থায়ী দুটি ক্যাম্পাসের পাশাপাশি কামালবাজারেও চলছে ৩টি ডিপার্টমেন্টের ক্লাস। এ বছরই ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ডিপার্টমেন্টের ক্লাস স্থানান্তর করা হবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে। তাছাড়া ৩৪ হাজার ও ৯০ হাজার স্কয়ার ফুটের দুটি ভবনের কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। ভবন দুটির কাজ শেষ হলে সবকটি ডিপার্টমেন্ট স্থানান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) ২০১৬ সালে গঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা তদারকি চলছে।

লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাগীব আলী প্রায় নয় মাস অনুপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হলেও কাজ চালিয়ে নিয়েছি আমরা। এখন উনার স্ব-শরীরে আমাদের মাঝে উপস্থিতি প্রাণের সঞ্চার করেছে। উনার ফিরে আসায় আমরা নতুন উদ্দীপনায় কাজ করছি। ইতোমধ্যে উনি আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে সে জন্য লিডিং ইউনিভার্সিটেতে একটি মনিটরিং সেল রয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, তাছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে সম্পৃক্ত থাকতে উৎসাহিত করছি, যাতে তারা জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে।

ড. কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বমানের নেতৃত্বে আসার পরিকল্পনাই লিডিং ইউনিভার্সিটির লক্ষ। এ লক্ষে আমরা গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করছি। তাই একটি গবেষণা সেলও করা হয়েছে। সিলেটের নাগরী লিপি ও বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভাষা নিয়েও লিডিং ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করা হচ্ছে বলে জানান ভিসি কামরুজ্জামান।

তিনি আরো বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বাইরের দেশের ইউনিভার্সিটিতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার ৫টি ইউনিভার্সিটির সাথে সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সকল ইউনিভার্সিটিতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারবে লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিসিএসে জুডিশিয়াল সার্ভিসে বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন। তাই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বা এর শিক্ষার্থীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণের কোন কারণ নেই বলেও জানান তিনি।

ভিসি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার এন্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের। এ জন্য আরো নতুন অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট স্থাপনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সাথে সাথে আরো কয়েকটি নতুন ডিপার্টমেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও ভিসি কামরুজ্জামান জানান।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.