Sylhet Today 24 PRINT

রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৩ মার্চ, ২০১৮

ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১১জন ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এসময় স্মৃতিচারণ করেন মেডিকেল কলেজটির অধ্যক্ষ ড. আবেদ হোসেন ও উপাধ্যক্ষ ড. একেএম দাউদ। তারা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনাও করেন।

ভিনদেশি এই সহপাঠীদের এমন মৃত্যুতে শোকাহত রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শোকে স্তব্ধ শিক্ষকরাও। পালন করছে ৩ দিনের শোক।

৩ দিনের শোক পালনের অংশ হিসেবে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে। মোমবাতি প্রজ্বলন করে স্মরণ করা হয় নিহতদের। এছাড়াও কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং আজকের সব ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।


সোমবার ইউএস-বাংলা বিমানের বিএস-২১১ ফ্লাইটে ছিলেন এই মেডিকেল কলেজের ১৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দু'জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকী ১১ জনই মারা গেছেন।

ফাইটে থাকা রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, সামিনা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিন্সি ধানী। এদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রিন্সি ধানী এবং সামিনা বেনজারখার শ্রীলঙ্কার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন

প্রসঙ্গত, সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডু রওয়ানা হয়েছিল ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ। কেবিন ক্রু সহ বিমানের মোট মানুষ ছিলেন ৭১ জন। ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল নেপাল পুলিশ। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিক।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.