Sylhet Today 24 PRINT

শাবি উপাচার্যের দুর্নীতির বিবরণ দিলেন শিক্ষকরা

শাবি প্রতিনিধি |  ১৮ জুন, ২০১৫

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া আপ্যায়ন ভাতা ৪০০ ভাগ বর্ধন করেছেন। ২০ নভেম্বর নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে সাহায্য দেয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেও দেননি, নিজের শ্যালকের দ্বিতীয় বিভাগ থাকা সত্বেও প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যান্য আত্মীয় স্বজনকে পিয়ন, দারোয়ানের পদে চাকরী দিয়েছেন।

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এমন খতিয়ান দিয়েছেন উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। উপাচার্যকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের নেতা ড. মোহাম্মদ ইউনুছ এবং মোঃ ফারুক উদ্দীন ভিসির দুর্নীতির এসব বিবরণ তুলে ধরেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে উপাচার্যের দুর্নীতির এসব খতিয়া তুলে ধরেন শিক্ষকরা। এসব উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানান সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ।

গ্রীস্মের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলতেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়ার অপসারণ দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষকদের এই প্যাণেল।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ বৃহস্পিতবার থেকে ফের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে নামে। আন্দােলন কর্মসূচী থেকে এই উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে দেখামাত্র প্রতিহতের ঘোষণা দেন। তবে আন্দোলন চালাকালে ক্লাস পরীক্ষা  অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শিক্ষকরা।

ভিসিকে দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী, স্বজনপ্রীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণকারী ও অযোগ্য আখ্যা দিয়ে ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন শিক্ষকরা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তাবুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ইউনুছ, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য মোঃ ফারুক উদ্দীন প্রমুখ। সমাবেশে অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের যে গ্রুপ রয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি ছিল যে সরকার উপাচার্যকে অপসারণ করে নিয়ে যাবে। তিনি পদত্যাগ না করলে আগামী ২১ জুন প্রশাসনিক ভবন এবং ২৩ জুন ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন । ২৩জুন থেকে শাবির ৩২০ একরের মধ্যে উপাচার্যকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই শিক্ষকরা মুখোমুখি হবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকবে বলে জানান অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া কোন মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে তিনি বলেন, “২৩ তারিখ ছুটি শেষে আগামী ২৪ তারিখ ইনশাআল্লাহ আমি যোগদান করবো।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.