Sylhet Today 24 PRINT

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছেন এসআইইউ’র শিক্ষার্থীরা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৪ মে, ২০১৮

ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ সহ চার দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগসহ চার দফা দাবির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তারা তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে তাঁরা জানান।

বুধবার (২৩ মে) দুপুরে এ সমস্যাগুলো নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মনির উদ্দিন ও প্রক্টর প্রধান মাহবুব ইবনে সিরাজের নিকট স্মারকলিপি প্রদানকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের এ ঘোষণা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

এদিকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বৈঠক করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি দাওয়া মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি দীর্ঘ আট বছর ধরে স্থায়ী ভিসি নিয়োগ ছাড়াই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। খালি রয়েছে প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদটি। পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষক সংকট। এসবের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে। থমকে আছে অবকাঠামো উন্নয়নও। নেই প্রত্যেকটি অনুষদের আলাদা আলাদা ডীন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ আট বছর ধরে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, স্থায়ী ভিসি নিয়োগসহ ওই শূন্য পদগুলো পূরণের আশ্বাস দিলে কার্যত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই এবার তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে মঙ্গলবার (২২ মে) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবস্থা বর্ণনা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সেখানে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কেউ অনুমোদনবিহীন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত কোনো প্রোগ্রামে কোর্সে ভর্তি হলে তার দায়দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি নেবে না।'

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসির আব্বাস খান জানান, এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালে কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। তখন উনারা তিন মাসের মধ্যে এ সমস্যাগুলো নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও কার্যত কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই এখন আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন রাস্তা নেই।

জানা যায়, ২০০০ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরুর পর থেকে জটিলতার নানা সমীকরণে ঘুরপাক খাচ্ছে সিলেটের প্রথম এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি। মালিকানার দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৮ বছরেও গঠন করা হয়নি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থায়ী উপাচার্য নেই। খালি আছে উপ-উপাচার্য কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের পদও। নেই প্রত্যেকটি অনুষদের আলাদা আলাদা ডীন। রয়েছে শিক্ষক সংকট। খালি পদের সবকটিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এসব অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কারণে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা জানিয়ে ২২ মে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.