Sylhet Today 24 PRINT

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিই বহাল থাকছে

রাবি প্রতিনিধি |  ০৬ আগস্ট, ২০১৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে নিতে চাইলেও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা আগের এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে বলে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এছাড়া এবারই শেষ হচ্ছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ।

সোমবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, 'এবারেও ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে। পাঁচটি ইউনিটের প্রতিটিতে ৩২ হাজার শিক্ষার্থীকে ফলাফলের ভিত্তিতে বাছাই করে নেওয়া হবে।'

এর আগে ২২ জুলাই ভর্তি উপকমিটির দ্বিতীয় সভায় বহু নির্বাচনীর (এমসিকিউ) পরিবর্তে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এই উপ-উপাচার্য। সেখানে ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার কথাও বলা হয়েছিলো।

লিখিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত হলেও পরে কেনো এ সিদ্ধান্ত, এই প্রশ্নে উপ-উপাচার্য বলেন, 'ওই সিদ্ধান্ত ছিলো ভর্তি পরীক্ষার উপ-কমিটির। আজকের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটির সভায় এবং এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।'

তিনি বলেন, 'পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় প্রতি ইউনিটে ৩০০ টাকা মূল ফি, সেই ইউনিটের সকল বিভাগ প্রতি ৬০ টাকা এবং ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বলেও তিনি জানান।

রাবিতে এবারই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ শেষ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এবার ২০১৬-১৭ এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছুদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ৫৫ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের বাছাই করে প্রতি ইউনিটে ৩২ হাজার পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার সুযোগ থাকছে না বলেও তিনি জানান।

উপ-উপাচার্য জানান, 'আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর পরীক্ষা নিয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ক্লাস শুরু হবে ২১ জানুয়ারি।'

আবেদন যোগ্যতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আসলাম হোসেন জানান, 'ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।

বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেলে অন্তত দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড ও তিনটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড থাকতে হবে। উভয় লেভেলের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে।'

ইউনিটভুক্ত অনুষদগুলো হলো:
‘এ’- কলা ও চারুকলা অনুষদ;
‘বি’- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ);
‘সি’- বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ;
‘ডি’- জীব, ভূ-বিজ্ঞান ও কৃষি অনুষদ;
‘ই’- সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.