Sylhet Today 24 PRINT

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বিজয় দিবস পালিত

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে লিডিং ইউনিভার্সিটি।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাস থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, লাল সবুজের পতাকা, বাদ্যযন্ত্র এবং বিজয়ের ব্যাচ ধারণসহ একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবার।

এ সময় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ট্রেজারার বনমালী ভেীমিক, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-০১ এ মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই।

বিজয়ের শুভেচ্ছা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনালী দেশ বাংলাদেশ আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক পরিচালনায় উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা অচিরেই বিশ্বের বুকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

তিনি বলেন, আজ আমরা জাতীয় পতাকা পেয়েছি, আমরা স্বাধীন, তাই সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেকটরে বাংলাদেশের যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমনিভাবে শিক্ষাক্ষেত্রেও উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, সেলফ এমপ্লয়েড হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশীয় ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সার্থক হবে।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না। ১৯৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক যেভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ, বৈষম্য করেছে তার প্রতিবাদেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার স্বাধীনতার ডাক দেন। সেই মহান নেতার শক্ত হাত, মেধা, সাহস ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস, বাংলার কৃষ্টি, কালচার ও ঐতিহ্যকে ভবিষ্যৎ সমাজ ব্যবস্থার দিক নির্দেশনা হিসেবে নিতে হবে, তবেই বর্তমান তরুণ সমাজকে বিপদগামী থেকে রক্ষা করা যাবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমেদ দীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এবং আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রাশেদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির কনভেনার ড. ওয়াহিদুজ্জামান খান, আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বরূপ দাস দিপ্ত, ইইই বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চৌধুরী তাসনূভা হাজেরা এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদ চৌধুরী প্রমুখ।

এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাউসার হাওলাদারের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.