Sylhet Today 24 PRINT

প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাবি হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ

রাবি প্রতিনিধি |  ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ‘অনধিকার চর্চা ও অপব্যবহারের’ অভিযোগ তুলে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিহার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. আলী আসগর লিখিত বক্তব্যে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এর আগে শুক্রবার ছাত্রলীগের তুলে দেওয়া প্রথম বর্ষের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে বের করে দেন হল প্রশাসন। পরে সেদিন ছাত্রলীগ হল গেইটে তালা দিয়ে প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকে। সেখানে প্রক্টর এসে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগকে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করতে বলেন।

তবে বের করে দেওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে জনি মিয়াকে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রক্টর তুলে দেন বলে অভিযোগ জানান ওই হলের প্রাধ্যক্ষ।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রক্টর মহোদয়ের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মতিহার হলের ১২০নং কক্ষে আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে হল থেকে বিতাড়িত করে তার পরিবর্তে মো. জনি মিয়াকে অবস্থানের ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণে আমি আজ অপরাহ্নে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে হলে গিয়ে আমরা জানতে পারি, হল প্রশাসন কর্তৃক ১২০নং কক্ষে আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে বিতাড়িত করে তার স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী জনি মিয়া অবস্থান করছে। মতিহার হল প্রশাসন এখন পর্যন্ত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিকতা প্রদানের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। এমতাবস্থায় হল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে আমরা হল প্রশাসন ওই দিন বিকেল ৪টায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে তার জিনিসপত্রসহ মতিহার হল থেকে বের করে দিয়ে হল কর্তৃক আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে উক্ত কক্ষে অবস্থানের ব্যবস্থা করি।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ‘অবৈধ ছাত্র জনি মিয়ার আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ। সে আমার ও আবাসিক শিক্ষকের সামনে অশালীনভাবে কথা বলে এবং তাকে বের করে দেওয়া ঠেকাতে বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন প্রক্টর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মতিহার হলে আসেন। মতিহার হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ও অনুপস্থিতিতে প্রক্টর হলের আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে বিতাড়িত করে অবৈধভাবে অবস্থানকারী হল প্রশাসন কর্তৃক বিতাড়িত জনি মিয়াকে হলে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়টি আমি সে রাতে হলের আবাসিক ছাত্রদের মাধ্যমে অবগত হই এবং পরে পত্রিকার মাধ্যমে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বক্তব্যে নিশ্চিত হই। মতিহার হলেন অনাবাসিক ছাত্র জনি মিয়া এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে হলের ১২০ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম, সুবেদ চন্দ্র দেব শর্মা ও মো. নূরুজ্জামান।

প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রাধ্যক্ষের বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই দিন উনি উনার দায়িত্ব পালন করেননি। এমনকি উনি কারও ফোনও রিসিভ করেননি। উনার হলে গণ্ডগোল হবে আর উনি ওখানে থাকবেন না, এটা তো হয় না। আমি এর প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, ‘পদত্যাগপত্রের কপি এখনো হাতে পাইনি।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.