Sylhet Today 24 PRINT

শাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সভাপতি ‘লাঞ্ছিত’

শাবি প্রতিনিধি |  ২৭ মার্চ, ২০১৯

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনটির সভাপতি 'লাঞ্ছিত' হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।।

শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'হলের রুম দখলকে কেন্দ্র মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় দাস ঝুটন ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমীনের অনুসারী কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।'

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বঙ্গবন্ধু হলের ৪০২২ নম্বর রুমের দখল নিয়ে ঝুটন ও রুহুল আমীনের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে এক পর্যায়ে সেই উত্তেজনা শাহপরান হলেও দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা চলাকালে মৃন্ময় দাস ঝুটনের অনুসারী কর্মীরা রুহুল আমীনকে শাহপরান হলের নিচে লাঞ্ছিত করেন করেন।

যদিও শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল আমিন লাঞ্ছিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি দাবি করে বলেন, উত্তেজনার খবর পেয়ে তাদের শান্ত করতে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনার পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে আমি সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রুহুল আমীন বলেন, আমার এক কর্মী ভর্তি হয়ে ৪০২২ নম্বর রুমে থেকে আসছে। সেই রুমের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে ঝুটনের অনুসারী কর্মীরা। ঝুটনের নির্দেশে তারা হামলা চালায়।

তবে মৃন্ময় দাস ঝুটন বলেন, আমি তখন বাসায় ছিলাম। শুনেছি, এই রুমে আমার এক কর্মী থাকত। কিন্তু রুমের দখল নিতে রুহুলের অনুসারীরা রাতে হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ভুঁইয়ার অনুসারী কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জেরে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছিলেন।

এ ঘটনার জেরে ২০ মার্চ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী কর্মীরা মুশফিকুর রহমান ভুঁইয়ার অনুসারী ও বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারের উপর জিইআই পাইপ, রামদা ও ইট দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ছাত্রলীগের এমন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রাজীবের উপর হামলাকারীদের জঙ্গি বলে মন্তব্য করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, যারা মারামারি, হানাহানি করে, ছাত্রলীগের ঐতিহ্য নষ্ট করতে চায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে চায়; তাদের স্থান এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।

প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি রাতে ঘটনা ঘটার সাথে সাথে হলে এসেছি। দুই পক্ষের সাথে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.