Sylhet Today 24 PRINT

ছুটিতে যাচ্ছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১১ এপ্রিল, ২০১৯

শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে স্বেচ্ছাছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হক।

বুধবার (১০ এপ্রিল) তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছুটি চেয়ে এই আবেদন জমা দেন।

উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী মনোয়ার হোসেন ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপাচার্য ছুটি চাইলেও তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে ছেদ পড়েনি। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজও বরিশাল-কুয়াকাটা ও ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে এই অবরোধ শুরু করেন তারা। শুরুতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করে এই অবরোধ শুরু করেন।

অবরোধ শুরু হলে মহাসড়কের চার কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা পৌনে দুইটা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।

ছুটিতে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে জানার জন্য উপাচার্যের মুঠোফোনে দুপুরে ফোন দিল তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মনোয়ার হোসেন ফোন ধরে বলেন, বৃহস্পতিবারই স্যার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনটি গ্রহণের পর প্রক্রিয়া চলছে। মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এবং পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হবে। এরপর সেটি পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ দুপুরে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বললে ২৭ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করেন। পরে উপাচার্য এস এম ইমামুল হক তার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৬ এপ্রিল রাজনৈতিক নেতা, বিভাগীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, উপাচার্যের পদের মেয়াদ দুই মাস আছে। এই সময় তিনি যাতে আর কর্মস্থলে না আসেন, সে জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ পাঠাবেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত দেওয়ার দাবিতে এখনো অটল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.