রাবি প্রতিনিধি | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাদশ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না চারুকলার ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী, তিন বছর দেরিতে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ও এখনো ফলাফল না পাওয়ায় নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালেও এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
গ্রাজুয়েটদের অভিযোগ, স্বাভাবিকভাবে ২০১৬ সালে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে সেশন জটের কারণে তিন বছর পর ২০১৯ সালে তা অনুষ্ঠিত হয়। তাই একই ব্যাচের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করলেও তারা অংশ নিতে পারেননি। এখনো পরীক্ষার ফলাফল না দেওয়ায় এবারো সমাবর্তনেও অংশ নিতে পারছেন না তারা।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়। ইতোমধ্যে নন-থিসিস শিক্ষার্থীদের ফলাফল দেয়া হয়েছে। তবে থিসিসকারীরা পরীক্ষা-পরবর্তী তিন মাস পর তা জমা দিলে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে একাদশ সমাবর্তনের জন্য নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয়। এ সমাবর্তনে ২০১৫-১৬ সালে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও এমফিলধারীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। পরবর্তী সেশনের ডিগ্রিধারীরা সে সুযোগ পাবেন না। তাই চারুকলা বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আশঙ্কা, এবারের সমাবর্তনেও অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া না হলে পরের সমাবর্তনেও তারা সুযোগ পাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১১-১২ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, সেশন জটের কারণে গত সমাবর্তনে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এবারের সমাবর্তনেও আমরা সেই সুযোগ হারাচ্ছি। তাই আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।
তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা কাছে বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়। তিনি উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করলে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন বলে আশ্বাস দেন। আবেদনে ফলাফল প্রকাশের আগেই এ সমাবর্তনে অথবা আগামী সমাবর্তনে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমানে চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হলে তারা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি উপাচার্যকে জানাতে পারেন। উপাচার্য চাইলে এ ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।