Sylhet Today 24 PRINT

চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়া হোক

সজল ছত্রী |  ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চা শ্রমিকদের সাথে আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানে যত বড়ো ঘর নয়, তত বড়ো ঘটনা! এটা সত্যি ঘটতে চলেছে। বাংলাদেশের চা শ্রমিকের জীবনে এতো বড় ঘটনা আর ঘটেনি। যে জনগোষ্ঠীটি প্রায় দুশো বছর ধরে আসামের গহীন, নির্মম পাহাড়কে নিজেদের রক্ত আর ঘামে অর্থকরী অরণ্যে পরিণত করেছেন, তাদের জন্য দিনটি ঐতিহাসিক। তারা অবাক হয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন। আমি এখনো জানি না, যারা কথা বলবেন, তাদের কিভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে। কদিন আগেও নিজেদের নেতাদের দালাল বলে আখ্যা দিয়েছেন চা শ্রমিকরা। তাদের এসব দালালদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে?

যাদের সাথে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী, মানে যাদের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের কথা জানবেন, তারা যেন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত না হোন। তারা যেন সাধারণ শ্রমিকটিরও বিশ্বস্ত হন। মাঝের লোকটাকে বিশ্বাস করা এখন খুবই কঠিন। চা শ্রমিক নেতারাও মাঝের লোক হয়ে গেছেন। তারা আর চা শ্রমিকের নাই।

চা শ্রমিকরা চোখভরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী কি অতো দূর থেকে চা শ্রমিকদের ঘরের আসল চিত্রটা দেখতে পাবেন?

মহাভারতের রাজা ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ ছিলেন। অন্ধ রাজার দেশে ধর্মরক্ষায় দুই দল যখন বিরাট যুদ্ধের আয়োজন করলেন। কুরুক্ষেত্রের সেই যুদ্ধ দেখার বাসনা হল ধৃতরাষ্ট্রের। তার এই বাসনা পূরণ হয়েছিল সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে। সঞ্জয় দিব্যদৃষ্টি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এক টাচে লাইভ ভিডিও স্টার্টের মতো তিনি চোখ বন্ধ করে কুরুক্ষেত্রেরে যুদ্ধের লাইভ টেলিকাস্ট দেখতেন। সেটি রাজাকে বলতেন। তার এই বর্ণনাই একসময় শ্রীমদ্ভগবত গীতা হয়ে যায়! গীতায় ধর্মযুদ্ধে অধর্মকে নিধনের ইঙ্গিত দেওয়া আছে।

রাষ্ট্রে ধর্ম প্রতিষ্ঠায় নিজের বিবেচনার বদলে যুদ্ধকে গুরুত্ব দেওয়া রাজা ধৃতরাষ্ট্র কুরুক্ষেত্র থেকে কোনো ভাল খবর পাননি। সঞ্জয় তাকে প্রতিদিনই কৌরব বংশ নির্বংশ হবার বাস্তবতা শুনিয়েছেন।

২.
একজন পুরুষ চা শ্রমিককে জিজ্ঞেস করা হল: আপনি এবং আপনার স্ত্রী দুজনই চা শ্রমিক। আপনাদের দুটি সন্তান। একটি ছেলে। অন্যটি মেয়ে। কষ্টেসৃষ্টে তাদের পড়ালেখা করালেন। তাদের একজন ডাক্তার হল। অন্যজন ইঞ্জিনিয়ার। একসময় আপনাদের বয়স হল। আপনারা কাজ থেকে অবসর নিলেন। কিন্তু চা বাগান চলবে কিভাবে? তারা শ্রমিক পাবে কোথায়? তাদের একমাত্র উত্তর হচ্ছে, অন্যরা করবে। মানে নিজেদের ছেলে মেয়েদের জজ ব্যারিস্টার বানাতে চাওয়া শ্রমিকরাও চান, একটা শ্রেণি থাকুক, যারা শ্রমিকের কাজ করবে! মানে তাদের মতো শোষিত থাকবে, তাতে তাদের আপত্তি নাই! চাচা আপন প্রাণ বাঁচার মতো তারা আপাতত নিজেদের ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে চান।

কিন্তু সরকারের ত এমন চিন্তা করলে হবে না। চা বাগান পুনর্বাসন কেন্দ্রও নয় যে, এক গ্রুপ ছেলেমেয়েদের জজ ব্যারিস্টার বানানোর পর বাগান ছেড়ে গেলে আরও দরিদ্র একটি গ্রুপকে ধরে এনে এখানে শ্রম দিতে বাধ্য করা হবে। অবশ্য স্বেচ্ছায়ই বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লার মতো এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখন চা বাগানে এসে ন্যূনতম সুবিধা নিয়ে পুনর্বাসিত হচ্ছেন। চুলোর জীবন ছেড়ে তারা কড়াইয়ে ওঠে যাচ্ছেন! থাকার জায়গার সাথে যা সামান্য পাচ্ছেন, তাতেই তারা খুশি।

অনেকে মনে করেন চা শ্রমিকরা যারা থাকার জায়গা, নামেমাত্র হলেও ফ্রি শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন, তারা অনেক পাচ্ছেন। এই পরিমাণ সুবিধা ও অল্প মজুরিতে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চান বাংলাদেশে এমন মানুষের অভাব নেই। তাহলে চা শ্রমিকদের এতো দাবি মেনে নিতে হবে কেন? অনেকে বলেন, তাহলে চা শ্রমিকরা বাগান ছেড়ে চলে যাক। বাইরে থেকে এসে কাজ করুক, তাদের ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি দেওয়া যাবে। যেমন পঞ্চগড়ের চা শ্রমিকদের দেওয়া হয়।

আদতে সিলেটের চা শ্রমিকদের বাস্তবতা ভিন্ন। সরকারেরও এটা আরও ভাল করে বোঝা উচিত। এখানে একটা বড় ঘাটতি রয়েছে। দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে ভিটায় বসবাস করেন সিলেটের চা শ্রমিকরা, জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে হোক, সেই ভিটা বছর বছর চা বাগান ইজারাদারদের কাছে ইজারা দেয় সরকার। চা বাগান মালিকরা সত্যি দাবি করেন, শ্রমিকরা তাদের জমিতে বসবাস করেন। কথায় কথায় বাগান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

চা শ্রমিকরা কি তাহলে ভূমিহীন? দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে বংশ পরম্পরায় যে জমিতে তারা বসবাস করছেন, সেটি তাহলে কার?

সিলেটের চা শ্রমিকরা ব্রিটিশের দাসের মতো জীবন মেনে নিয়ে চা বাগান গড়ে তুলেছেন। ব্রিটিশমুক্ত দেশে তাদেরই ত হওয়া উচিত ছিল চা বাগানের মালিক। কিন্তু তা হয়নি। ওহ আজাদি ঝুটা থা! একসময় তারা দেখেছেন, স্বাধীনতার নামে এদেশিয় বেনিয়ারা তাদের মালিক বনে গেছে!

সময় বাণিজ্যের, স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু রাষ্ট্র তার মানুষের সাথে প্রতারণা করবে কেন?

সিলেট অঞ্চলের চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়া হোক। এটা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী কি শুনবেন?

৩.
চা শ্রমিকরা দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পেতেন। এখন থেকে সেটা ১৭০ টাকা হয়েছে। তার আগে অনেক দেন দরবার হয়েছে। চা শ্রমিকরা টানা ১৯ দিন ভুখা থেকে চা বাগানে কর্মবিরতি করেছেন। তার ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলার উদ্যোগী হয়েছেন। নয়ত বঙ্গবন্ধুর অন্ধভক্ত চা জনগোষ্ঠীর এসব মানুষের সাথে এর আগে কখনো বঙ্গবন্ধুতনয়া কথা বলার উদ্যোগ নিচ্ছেন, এমনটা দেখিনি।

এখনো চা শ্রমিকদের বেশিরভাগ নৌকা প্রতীকের ভোটার। কারণ সেটি শেখ মুজিবের প্রতীক। মুজিবকে তারা পিতা মেনেছিলেন, তাকেই ভোট দেন। বাগানের বয়োবৃদ্ধরা বলেন, এক জীবনে বাপ বদলানো সম্ভব না!

৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে কর্মবিরতিসহ আন্দোলন করছিলেন চা শ্রমিকরা। এসময় তাদের অনেক কথা, কথার কথা হয়ে গেছে। যেমন তারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাননি। তারা চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা বলুন। মানে, প্রধানমন্ত্রী বলুন, কাল থেকে আপনাদের মজুরি ৩শ, ৫শ, ৭শ বা একশো বিশ! ব্যাস, সকাল থেকে টুকরি মাথায় কাজে চলে যাবেন শ্রমিকরা!

তারা আন্দোলন করেছেন আর টিভিতে খবর নিয়েছেন। আন্দোলনের ১৯ দিন কোনো অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখলেই তারা অধির অপেক্ষা করেছেন। এবার হয়ত প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন! চা শ্রমিকরা ত স্মরণকালে এমন আন্দোলন গড়ে তোলতে পারেননি। নিজেদের অধিকারের কথা ঠিকমতো বলবে কি, জানেনও না তারা।

নেতাদের ওপর তারা বিশ্বাস হারিয়েছিলেন, কারণ নেতারা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যেতে পারেন না, নেতাদের নেতারা তাদের আটকে দেন বলেই তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ বিশ্বাস। আন্দোলনের শেষ দিকে যখন খবর এলো, প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সাথে কথা বলবেন। আবার কাজে ফিরে যাবার আশায় শ্রমিকরা বুক বাঁধলেন। সাথে হতাশও হলেন। কারণ, এতো আন্দোলন করেও প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে একটা শব্দ শোনার সৌভাগ্য হল না তাদের। আর কিছু না করেও মালিকরা মাগনা দাওয়াত পেলেন গণভবনে!

১৯ দিন শেষে খবর এলো ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা মেনে নিয়ে যেন কাজে যায় চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

চা শ্রমিকরা কাজে গেলেন। খুব মন খারাপ করে গেলেন। যে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মাত্র ৩শ টাকা দিতে পারেন না, তিনি কেমন প্রধানমন্ত্রী?! চা শ্রমিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর আমি কী দিব বলেন? প্রধানমন্ত্রীও ত দিতে পারবেন না!

১৯ দিন পর কাজে যেতে যেতে চা শ্রমিকরা নিজেদের দুখী চোখের দিকে তাকিয়ে একে অন্যকে বললেন, প্রধানমন্ত্রী ত আমাদের কথাও শুনতে পারতেন!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সিলেটের চা শ্রমিকদের অনন্য সাধারণ একটি দিন উপহার দিচ্ছেন তিনি। সিলেটের লাক্কাতুরা আর মৌলভীবাজারের পাত্রকলা চা বাগানে জড়ো হওয়া শ্রমিকদের কথা তিনি শুনবেন ভিডিও কনফারেন্সে। দেখবেন, চা শ্রমিকরা বিশেষ কিছুই বলতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রীকে। সুযোগ পেলে জানিয়ে দেবেন, তারা ভালো আছেন এবং তারা যারপরনাই খুশি!

৪.
এখন একজন শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা বেশি খরচ করতে হবে বাগান ইজারাদারদের। এই টাকা তারা পাবেন কোথায়? অনেকেই বলেন, চা বাগান এখন লোকসানি প্রতিষ্ঠান। বাগান মালিকরা পারিবারিক রিসোর্টের মতো করে সেগুলো বাঁচিয়ে রেখেছেন।

এমনটা ভাবা বা দাবি করাটা অবশ্যই অপরাধ। আবার বলছি, ইজারাদার যদি বাগানের ক্ষতি হয় এমন কোনো উদ্যোগ নেন, সেটির প্রতিবাদ করা উচিত শ্রমিকদেরই। কারণ, সিলেট অঞ্চলের চা বাগানগুলোর প্রকৃত মালিক এখানকার আদিবাসী চা শ্রমিকরা।
চা বাগানকে নিজেদের রিসোর্ট ভাবা বন্ধ করতে হবে।

রিসোর্ট হিসেবে নয়, চা শ্রমিকের ন্যায্য ও সময়ের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ চাহিদাগুলো পূরণ করে চা বাগানকে আর্থিকভাবে লাভবান করাই হতে হবে চা বাগান ইজারাদারদের দায়িত্ব।

লাভ লোকসান নিয়ে তারা সরকারের সাথে ঝগড়া করতে পারেন, শ্রমিকের সাথে নয়। আর এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন, চা বাগান পরিচালনায় ব্রিটিশের কুৎসিত বুদ্ধি থেকে বের হয়ে আসা।

ব্রিটিশরা চা বাগান চালাতো দাস দিয়ে, গোলাম দিয়ে। ইজারাদারদের বুঝতে হবে, তারা যাদের দিয়ে বাগান চালাচ্ছেন তারা কেউ দাস নন। প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রীর সমান অধিকারের অধিকারী। তাদের প্রত্যেকের একটি ভোট। তারা স্বাধীন, পরিপূর্ণ বাংলাদেশি, সার্বভৌম দেশের অধিকারী। অত্যাচার ত দূর কি বাত, তাদের এক টাকা ঠকালেও তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন!

৪.
চা বাগানের আয় রোজগার বাড়াতে বহুমুখী চিন্তার বিকল্প নাই। তা না হলে আর অল্প দিনেই ধ্বংস হবে দেশের চা শিল্প। শুধু চায়ের চাষ করে শ্রমিকের জীবনমান ঠিক রেখে লাভ সম্ভব কি না, তা নিয়ে আমার বিস্তর জানা নাই। তবে এটা বুঝি, খুব কঠিন।

চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি যদি হয় কমপক্ষে ১ হাজার টাকা। তাহলে মাসে দাঁড়ায় ৩০ হাজার টাকা। মোটামুটি স্মার্ট আয়ের এই জব সবাই করতে চাইবেন। একসময় বাঘ-ভাল্লুকের খাবার হয়েও চা বাগান তৈরি করেছেন চা শ্রমিকরা। এখন দু চারটা সাপ-বিচ্ছু ছাড়া তেমন বড় কোনো ভূত-জীন নেই চা বাগানে।

চা বাগানের সবুজের মধ্যে থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করা অনেকের জন্যই স্বপ্ন হবে। যার অধিকার নিজেদের বংশ পরম্পরায় অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করেছেন বাগানিরা। এবং সেটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠারও আগে।
কিন্তু ইজারাদাররা এতো টাকা দিবেন কোথা থেকে? আমার কিছু অনভিজ্ঞ প্রস্তাবনা হচ্ছে :

ক. উৎপাদনে আরও স্মার্ট টেকনোলজি প্রয়োগ করা হোক। তাতে চায়ের কোয়ালিটি ও ভ্যালু বাড়বে। বর্তমান চা ফ্যাক্টরিগুলোতে গিয়ে যে বিষয়টি সহজেই আপনার নজর এড়িয়ে যায়, সম্ভবত সেটি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। পরিবেশ উন্নত হলে কোয়ালিটিও উন্নত হওয়ার কথা।

খ. শুধু চা উৎপাদনে না থেকে চা বাগানের প্রতি ইঞ্চি উর্বরা জমিকে বহুমুখী উৎপাদনে ব্যবহার করা হোক। চা শ্রমিকরা এর পরিচর্যা করবেন।

গ. সবুজ গালিচার চা বাগানে মুগ্ধ রাত কাটাতে কে না চান! এই মুগ্ধতাকে ব্যবহার করে সুশৃঙ্খল এবং পৃথক পর্যটন ব্যবস্থা চালু করতে পারে চা বাগানগুলো। প্রত্যেকটা বাগানে অন্তত ৫০টা কটেজ করা সম্ভব। যেখান থেকে আসবে চা বাগানের বাড়তি আয়।

ঘ. সিলেটের চা বাগানগুলোর প্রকৃত যারা মালিক, সেই চা শ্রমিকদের মাথায় রেখে বাগান পরিচালনা করলে এখনো সম্ভব চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখা। নিজেকে মালিক বা সরকার ভেবে পরিচালনা করলে, আর যাই হোক কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালীর মানুষ দিয়ে খুব বেশি দিন টিকিয়ে রাখা যাবে না সিলেটের এই শিল্পকে। কারণ এটা পঞ্চগড় না।

সজল ছত্রী: কবি, সাংবাদিক।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.