Sylhet Today 24 PRINT

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের অভিমানী স্ট্যাটাস ও আমার কিছু কথা

জহিরুল হক বাপি |  ২৭ জুলাই, ২০১৬

শ্রদ্ধেয় বাঙালি পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভাইয়ের নাতিদীর্ঘ শেষ স্ট্যাটাসটি পড়লাম। আমি যেহেতু ফ্রেন্ড লিস্টে নাই ফলোয়ার হওয়াতে লিখাটি দেরীতেই চোখে পড়ল। অভিমান ভরা লিখা। সহজাত বাঙালির অভিমান, ক্ষোভ আছে। স্বাভাবিক। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারা বারবার মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে তার বিনিময়ে তিরস্কার জুটছে। অনেকে বলবেন তারা তাদের কাজ করেছে। এই “কাজ” কি আমরা করছি আমাদের বেলায়?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে অহরহ। শিক্ষকের কাজ কি তা?

বর্তমানে দেখছি শিক্ষকরাই জঙ্গিবাদের শিক্ষা দাতা। শিক্ষকদের কাজ কি তা?

সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা খুবই আগ্রহী ব্যক্তিগত চেম্বারে রুগী দেখাতে। তাদের কাজ কি তা?

শিক্ষক, চিকিৎসক, এমনকি উকিলরাও কিছু থেকে কিছু হলে ধর্মঘট ডাকেন কিন্তু পুলিশের সে উপায় নেই। তাদের কাজটা যে কি গত কয়েক দিন ভেবে ঠিক বের করতে পারলাম না। তাদের কাজ সম্ভবত মরে যাওয়া। মরে গেলেও কাজ অপূর্ণাঙ্গ থাকে, পুলিশ বলে কথা। পুলিশের সকল কাজের বিরোধিতা, সমালোচনা, খুঁত ধরা এখন স্মার্টনেস, জ্ঞানের বহি:প্রকাশের অংশ।

আসেন পৃথিবীব্যাপী ঘটে যাওয়া  কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করি।

ফ্রান্সে রাস্তায় ট্রাকের সাহায্যে একে একে ৮৪ জন মানুষকে হত্যা করা হলো। চু-রা-শি জন মানুষ খো-লা রাস্তায়। অতি আধুনিক ফ্রেঞ্চ পুলিশ কিছু করতে পারে নি ৮৪ টি প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার আগে। সভ্য জাতি জাপানে একজনই শুধু ছুরি দিয়ে হত্যা করলো  ১৯ জনকে আহত দ্বিগুণ। তারপর খুনির আত্মসমর্পণ।

ফ্রান্সে গির্জার পাদ্রীকে জিম্মি করে হত্যা, নিহত মোট ৩ জন। জার্মানে চলছে সিরিয়াল কিলিং। ১৮ বছর বয়স্ক এক সন্ত্রাসীর গুলিতে ৯ জন নিহত ২৭ জন আহত, আরেক আত্মঘাতীর হামলায় নিহত এক আহত ২০ জনের কাছাকাছি, ট্রেনের ভিতর কুপিয়ে হত্যা করা হয় সম্ভবত ৩ জনকে। আধুনিক, সুপ্রশিক্ষিত পুলিশ তড়িৎ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কাবুলে বোমা হামলায় নিহত ৮০ জন, বাগদাদে বোমা মেরে হত্যা করা হলো ৬ জনকে, সোমালিয়ায় বোমা হামলায় নিহত ১৩।

অত্যাধুনিক এবং সাধারণ দুই ধরনের দেশেই জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্বারা মানুষ হত্যার খতিয়ান দিলাম। পুলিশ হত্যার খতিয়ান প্রায় নেই। বাংলাদেশে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত পুলিশের সংখ্যা সম্ভবত ১৭০-এর বেশি। অতদূরে না যাই, এখনকার বাংলাদেশের কথা বলি।

গুলশান হামালায় দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত। ঐ পুলিশ কর্মকর্তারা সিপাহীদের এগিয়ে যেতে বলেন নাই নিজেরাই এগিয়ে গিয়েছিল। গুলশানে জঙ্গি অ্যাটাকের তিন মিনিটের ভিতর পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিল। সেটাও দোষ! প্রশ্ন উঠেছিল ৩ মিনিটে পুলিশ গেল কিভাবে? কিভাবে গেল সেটার উত্তর পাওয়ার পর প্রশ্ন পুলিশ কেন রাতে অপারেশন চালায় নি? কারণ একটি টিভি চ্যানেল বারবার আশ্বস্ত করছিল জিম্মিরা ভালো আছে (অথচ জঙ্গিরা ঢুকার সাথে সাথেই সকলকে হত্যা করে। তাদের প্ল্যান ছিল পালিয়ে যাওয়ার হত্যাকাণ্ডের পরপরই কিন্তু ৩ মিনিটে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা পাল্টে যায়)। জিম্মিরা যেহেতু ভালো আছে তাই স্বাভাবিকভাবেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা থাকে জিম্মি উদ্ধারের। তাই তারা সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক সময় নিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সকল নাটকের অবসান ঘটে, ঘটছে। ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে থলের সাপদের পরিচয়। কিন্তু সাপদের নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন নেই। বরং হাসনাত করিম এর উপর অন্যায় আচরণ হচ্ছে- পুলিশ হাসনাতের বিষয় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কত্ত গিয়ানি-গিয়ানি প্রশ্ন। আহহা মানবতা।
 
শোলাকিয়ার কথা চিন্তা করুন। চিন্তা করুন ভাইরাল হওয়া নীল পাঞ্জাবি পরা পুলিশ অফিসারটির কথা, ঈদের দিন সেখানে নিহত ২ পুলিশের কথা। নাহ, তাদের কথা চিন্তা করার সময় আপনার, আপনাদের কই? এরাতো মানুষ না পুলিশ। এদের দোষ ধরা, সমালোচনা করা জ্ঞানের প্রকাশ, মানবাধিকার দণ্ড। শোলাকিয়া ঈদগাহের দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশ জঙ্গি হামলা ঠেকিয়ে দেয়। ভাবুন যদি আধা কিলোমিটারের ভিতর জঙ্গিরা ঢুকতে পারতো, একটা বোমা ফাটাতে পারতো তবে মানুষের পা’ই হয়ে উঠতো ফ্রান্সের ঘাতক ট্রাক।

আরও পড়তে পারেন : ‘পুলিশের কেউ মারা যায় নি; এতেই যতো আপত্তি তাই না, বন্ধু!’

কল্যাণপুরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, প্রশ্ন উঠছে। ওরা জঙ্গি কিনা? এক পিস্তলে কত রাউন্ড গুলি ছুড়ে? পুলিশ জীবিত ধরলো না কেন? রাতেই অপারেশন শেষ হলো না কেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে সাধারণ মানুষ বলেছে জঙ্গিরা "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর" বলে স্লোগান দিয়ে মাঝে মাঝে বোমা মারছিল। সাধারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা অবিশ্বাস করার কারণ কি? সাধারণ জ্ঞান বলে এমন বদ্ধ জায়গায় অস্ত্রধারীরা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের ধরা খুবই মুস্কিল। রাতের অন্ধকারে জনবহুল এমন এলাকায় অপারেশন চালালে জান-মালের ক্ষতি অনেক বেশি হতো। পুলিশতো মরতই আপনার সাধের ধন-সম্পত্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকতো।

যৌথ বাহিনী তাদের নিয়ম, প্রশিক্ষণ অনুযায়ী আক্রমণ চালিয়েছে। এরপরও এক জঙ্গি পালিয়ে যেতে পেরেছে। আর একটা পিস্তলে কত লক্ষ রাউন্ড গুলি করা যায় যারা জানেন না তারা আসলে পেশাবের রাস্তা কোনটা সেটাও জানে না। পেশাবের রাস্তা আর সফট ড্রিংকস খাওয়ার পাইপ যে আলাদা এরা বুঝে না।

এখানে গুলশানের ঘটনার একটা অংশ তুলে ধরি। অ্যাটাকের তিন মিনিটের মধ্যে টহল পুলিশ হাজির হলেও তা স্বাভাবিকভাবে ছিল খুবই অপর্যাপ্ত। স্বাভাবিকভাবে বড় ফোর্স আসতে সময় লাগে। তাই কালক্ষেপণ করার জন্য জায়গা বদল কওে করে পুলিশ পিস্তলের বদলে বিভিন্ন দিক থেকে থেমে থেমে গুলি চালায় যাতে জঙ্গিরা বিভ্রান্ত হয় এবং পুরো বাহিনী আসতে সময় লাগে।

কল্যাণপুরে ছিল বিশেষ অভিযান। প্রথমে পুলিশের সংখ্যা ছিল ৫০-এর মত। তারা বিভিন্ন মেস তল্লাশি করতে করতে ঐ মেসে গিয়ে হাজির হয়। আর জাহাজ বিল্ডিং এর জঙ্গিরা ভাবে তাদেরকে টার্গেট করেই পুলিশ এসেছে। স্বাভাবিকভাবে দুই দলের ভিতর চলতে থাকে ইঁদুর বিড়াল খেলা যেমন হয়েছিল গুলশানে। সময় দরকার ফোর্স আসার জন্য, কৌশল নির্ধারণের জন্য। আরেক জ্ঞানী প্রশ্ন করে ছিল জঙ্গিরা কালো কাপড় পরে ঘুমানোর কারণ কি? উত্তর: জনাব, জঘন্য, নৃশংস হলেও জঙ্গিদের একটা আদর্শ আছে। তারা আপনার আপনাদের মতো আদর্শহীন মানুষ নয়। দেশের দুরবস্থায় যখন আপনি খ্যাতি বা টাকার চিন্তা করেন তার তা নয়। পুলিশ ঘেরাও এর ভিতরে কিভাবে কে ঘুমায়। আপনার মতো নীতি, আদর্শহীন মানুষদের দ্বারাও ঐ মুহূর্তে ঘুমানো কি সম্ভব হতো?

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ভাইকে বলি আপনারা বড় একটা ভুল করেছেন। জঙ্গিরা ফিরে আসলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের বদলে জ্ঞানী, সুশীল সমাজের জন্য এক লাখ টাকা গোপন চেক দিলে আপনাদের সমালোচনা কম হতো!

ভারতে তাজ হোটেলের কথা মনে আছে আপনাদের। কাশাপ নামে এক জন মাত্র জঙ্গি তাজ হোটেলের সবাইকে জিম্মি করে। তাজ হোটেল জিম্মি উপাখ্যান শেষ করতে সময় লেগে ছিল ৭২ ঘণ্টা তাও অপারেশন চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। আমেরিকার ওরল্যান্ডোর কথা মনে করুন। জঙ্গি একজন। সে মাত্র ৫০ জনকে হত্যা করার পর আমেরিকার যৌথ বাহিনী ৭২ ঘণ্টা পর জঙ্গির ব্যবস্থা করতে পেরেছিল। এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি। কিন্তু বাংলাদেশের ভাঙা গাড়ি, পুরানো বন্দুকের পুলিশদের উদাহরণ আরও আছে কিনা আমার জানা নেই।

পুলিশের সমলোচনাকারী গ্রুপ মূলত চারটি।
* জামায়াত-বিএনপি-জঙ্গি মনোভাবাপন্ন কিছু মানুষ। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য এরা নিজের মাকে নয় নিজেকেও বিক্রি করে দিতে পারে, দেয় নিজের ছায়ার তলে। উদাহরণস্বরূপ জামায়াতি-বিএনপি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ খন্দকার মাহবুব। এ খন্দকার মাহবুব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পরপর রাজাকারদের বিচারে সরকার পক্ষের উকিল। এ আইনজীবী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক আদালত সম্বন্ধে বলেছিলেন- কোন বিদেশী আইনজীবী নেই কিসের আন্তর্জাতিক আদালত? অথচ কেন এ আদালতকে আন্তর্জাতিক আদালত বলা হচ্ছে তিনি ভালো করেই জানেন। হীন রাজনৈতিক স্বার্থে জাতিকে উসকে দিয়ে বিভ্রান্ত করাই লক্ষ্য ছিল।

* খাম গ্রুপ। এরা টকশোবাজ। টকশোতে গিয়ে দেশী এবং বিদেশী প্রভুদের জন্য এরা কথাবার্তা বলে। বিনিময়ে খাম। এরাই বিশেষ বিশেষ সময়ে চিৎকার করে দেশে মানবতা নাই। হাসনাত করিমকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল এরা চিৎকার করছিল কোথায় হাসনাত, কোথায় মানবতা। আজ যখন হাসনাতের গোমর ফাঁস হচ্ছে, প্রমাণিত হচ্ছে তখন এদের মুখে কুলুপ। পুলিশ মরলে এদের এক ধরনের বাকবাকম। সরকারের সমালোচনা করা যায়- পুলিশ অসৎ, অদক্ষ ইত্যাদি ইত্যাদি।

* আরেক গ্রুপ এরা মূলত নেট ব্লগে সক্রিয় । আওয়ামী বিরোধিতা এদের ঈমানের অঙ্গ। আওয়ামী বিরোধিতা এদের কাছে ফ্যাশন। এদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই, এরা খামও পায় না। তবে এরা তথাকথিত বাম দলগুলোর সমর্থক।

* শেষ গ্রুপে আছে সাধারণ কিছু মানুষ। কোন না কোনভাবে এরা পুলিশের উপর, সরকারের উপর বিরক্ত। এরজন্য কিছু অসৎ, লোভী পুলিশ যেমন দায়ী তেমনি দায়ী কিছু সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতাও। তার সাথে উপরোক্ত তিন গ্রুপ এদের হতাশায় ঘি ঢেলে আগুন তৈরি করে। এরা বিভ্রান্ত হয়।

মনিরুল ইসলাম ভাই আপনার অভিমান ঠিকই আছে। চাকরীতো সবাই করে। কিন্তু পুলিশ, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক এদের মূল সম্মান আসে জনগণের স্বীকৃতি থেকে। খেয়াল করুন যুদ্ধাপরাধী রেজাকার আলবদরদের বিচার স্বচ্ছ হয়নি প্রথম ৩ গ্রুপের চিৎকারে আমরা সাধারণ মানুষেরা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষ ও পৃথিবী ঠিকই বুঝে গেছে বিচার সর্বোচ্চ পরিমাণ স্বচ্ছ। আপনারা ঐ সব নিজের ছায়ার তলে বাস করা মানুষদের কথায় পিছিয়ে পড়বেন না। কষ্ট না হয় কিছুদিনের জন্য চেপেই রাখুন। এছাড়াতো করণীয় কিছু নাইও। তাছাড়া সবাই সৎ নয় বলেইতো দেশে পুলিশের দরকার। সবাই শিক্ষিত নয় বলে শিক্ষকের দরকার। ঐ সব হাতগোনা কয়েকজন জ্ঞানীদের বিপরীতে এদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ আপনাদের সাথে আছে, আপনাদের জন্য ভালবাসা বাড়ছে, আরও বাড়বে। আর ঐসব জ্ঞানীরা ডাস্টবিনে বসে আমৃত্যু ভ্যান ভ্যান করছে, করবে। অতৃপ্ত আত্মা বলে তো একটা কিছু আছে। এদের কোন কিছুতেই কোন কালেই তৃপ্তি নেই। অন্যের দোষ ধরাতেই এদের আনন্দ। এরা উড়ে বেড়ায় গু থেকে শিশুর দুধের বোতল পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত আরেকটি কথা: ৭১-এ পাকি "ইবলিসদের" উপর একটা নির্দেশ ছিল, যত পারা যায় এদেশের নারীদের ধর্ষণ করে গর্ভবতী করা। সেই শিশুরা আজ বড় হয়েছে। তারা এদেশেই আছে, জেনেটিক্স বলেতো একটা কথা আছে।

জহিরুল হক বাপি : ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.