Sylhet Today 24 PRINT

তোমাদের ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয় আমার

বন্যা আহমেদ  |  ০২ এপ্রিল, ২০১৫

একটু একটু করে বেঁচে ওঠার চেষ্টা করছি প্রতিদিন। শরীরের ক্ষত তাকিয়ে থাকে আমার দিকে, জীবনের ক্ষত নিয়ে ভাবার ইচ্ছে হয় না এখনও। একটু একটু করে গড়ে তোলা বহু বছরের জীবনটা ফেলে এসেছি ঢাকার বই মেলার ফুটপাতে। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে চোখের সামনে দেখতে পাই ফুটপাতের উপর পড়ে থাকা অভিজিতের রক্তাক্ত দেহ। ভরদুপুরের নিস্তব্ধতায় শুনতে পাই হাসপাতালে আমার পাশেই শুইয়ে রাখা ক্ষতবিক্ষত অর্ধচেতন অভিজিতের মুখ থেকে ভেসে আসা অস্ফুট আওয়াজ। ডাক্তার যখন আমার কপালের, মাথার চাপাতির কোপগুলোর সেলাই খোলে, তখনও আঁতকে উঠি। বুড়ো আঙুলহীন বাম হাতটা দেখে প্রায়শ চমকেও উঠি। আয়নায় নিজের চেহারাটাও ঠিকমতো চিনতে পারি না আর।

আহত মস্তিষ্ক উত্তর খোঁজে, খোঁজে কারণ আর পারম্পর্য। তারপর বুকের খুব গভীরের সেই অপূরণীয় শূণ্যতা থেকে জন্ম নিতে থাকে এক অদ্ভূত অনুভূতি। চোখে ভাসতে থাকে মানুষের চেহারায় মনুষ্যেতর সেই প্রাণিদের কথা, যারা ঢাকার রাজপথে উন্মুক্ত চাপাতি হাতে বেরিয়ে আসে অন্ধকার মধ্যযুগীয় মূল্যবোধের গুহা থেকে, যাদের হুঙ্কারে ক্রমশ আজ চাপা পড়ে যাচ্ছে সভ্যতার স্বর।

লেখাটা লিখতে লিখতেই দেখলাম ঢাকা শহরে আবারও নাকি চাপাতির উল্লাসে ফেটে পড়েছে তাদের বিজয়গর্জন। এক মাস যেতে না যেতেই তারা আবার অভিজিতের হত্যা উদযাপন করেছে আরেকটি হত্যা দিয়ে। বাংলার মাটি ভিজতেই থাকে ধর্মোন্মাদ কূপমণ্ডূকদের নবীন উল্লাসে।

কিন্তু ইতিহাস ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে তারপরই মনে পড়ে যায় সে কথা, তোমরা তো সব সময় ছিলে। তোমাদের মতো ধর্মোন্মাদ অপশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই এগিয়েছে মানবসভ্যতা। তোমাদের মতো হায়েনার দল সব সময় প্রগতিকে খুবলে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। বুদ্ধিবৃত্তি, বিজ্ঞানমনস্কতা, প্রগতিশীল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, সবই তোমাদের আতঙ্কিত করেছে যুগে যুগে। তোমরাই তো প্রতিবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রগতি আটকাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছ। কিন্তু সামান্য কলমের আঁচড়ে তোমাদের কাঁচের ঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। তোমাদের দুর্বল ধর্মবিশ্বাস মুক্তচিন্তার হাওয়ায় নড়ে ওঠে। তলোয়ার নিয়ে, চাপাতি নিয়ে ছুটে আস, কল্লা ফেলেই শুধু তোমাদের ঈমানরক্ষা হয়।

তোমরা তো সব সময় ছিলে…

হাইপেশিয়ার শরীরের মাংস তোমরাই চিরে চিরে উঠিয়েছিলে। অসংখ্য নির্দোষ ‘ডাইনি’ পুড়িয়েছ তোমরা। সতীদাহে মেতেছ। ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে দানবীয় আনন্দ পেয়েছ। কূপমণ্ডূকের মতো গ্যালিলিওকে শাস্তি দিয়ে স্বস্তির ঢেঁকু্র তুলে ভেবেছ, এই বুঝি পৃথিবীর ঘোরা চিরতরে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হলে!

অভিজিৎ হাইপেশিয়াকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিল অনেক আগে। সামান্য অক্ষরজ্ঞান থাকলে পড়ে দেখ, দেড় হাজার বছর আগের ধর্মোন্মাদ ফ্যানাটিকদের সঙ্গে আজকের তোমাদের কোনো পার্থক্য নেই। সময়, পটভূমি ও অস্ত্র একটু বদলে দিলে তোমাদের নিজেদের চেহারাই দেখবে ওদের মধ্যে। হাজার বছরেও কাল, দেশ, ধর্ম, জাতিনির্বিশেষে তোমাদের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

‘‘একাত্তরে বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার মতোই সিরিল (পোপ-পূর্ববর্তী সময়ে আলেকজান্দ্রিয়ার ক্রিশ্চান ধর্মগুরু) যেমনভবে বেছে বেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নব্যতান্ত্রিক’ নিও-প্লেটোনিস্টদের ধরে ধরে হত্যার মহোৎসবে মত্ত ছিলেন, এমনই এক দিন কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হাইপেশিয়া মৌলবাদী আক্রোশের শিকার হলেন, অনেকটা আজকের দিনের হুমায়ুন আজাদের মতোই। তবে হাইপেশিয়ার ক্ষেত্রে বীভৎসতা ছিল আরও ব্যাপক। হাইপেশিয়া-হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পাওয়া যায় পনের শতকে সক্রেটিস স্কলাসটিকাসের রচনা হতে:

‘পিটার নামের এক আক্রোশী ব্যক্তি অনেক দিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিল। শেষমেষ সে হাইপেশিয়াকে কোনো এক জায়গা থেকে ফিরবার পথে কব্জা করে ফেলে। সে তার দলবল নিয়ে হাইপেশিয়াকে তাঁর ঘোড়ার গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে কেসারিয়াম (Caesarium) নামের একটি চার্চে নিয়ে যায়। সেখানে তারা হাইপেশিয়ার কাপড়-চোপড় খুলে একেবারে নগ্ন করে ফেলে। তারপর ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে তাঁর চামড়া চেঁছে ফেলে, তাঁর শরীরের মাংস চিরে ফেলে। আর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত হাইপেশিয়ার উপর তাদের অকথ্য অত্যাচার চলতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, মারা যাবার পর হাইপেশিয়ার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে সিনারন (Cinaron) নামের একটি জায়গায় জড়ো করা হয় আর তারপর পুড়িয়ে তা ছাই করে দেওয়া হয়।’

হাইপেশিয়াকে হত্যা করা হয় ৪১৫ ক্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে। হাইপেশিয়ার হত্যাকারীদের তালিকায় ছিল মূলত সিরিলের জেরুজালেমের চার্চের প্যারাবোলানস, মৌলবাদী সন্ন্যাসী, নিটৃয়ান খ্রিস্টীয় ধর্মবাদীরা।’’

ভুল করেও ভেব না যে, আমরা ভাবছি তোমরা শুধু ইতিহাসের পাতা জুড়েই আবদ্ধ হয়ে আছ। তোমরা যে এই একুশ শতকে আরও শক্তিশালী হয়ে আহত হিংস্র পশুর মতো দক্ষযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছ, সেটা ইচ্ছে করলেও কারও চোখ এড়াতে পারবে না। ঈমানরক্ষার জন্য আইসিসের জল্লাদেরা যখন কল্লা কাটে, বিধর্মী মেয়েদের যৌনদাসী হতে বাধ্য করে, বোকো হারাম যখন কয়েকশ তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় বাজারদরে বিক্রি করে বা তালিবানরা যখন নিস্পাপ স্কুলছাত্রদের উপর গণহত্যা চালায়, তখনও আমরা দেখতে পাই, তোমরা আগেও যেমন ছিলে, এখন তেমনি আছ।

বিশ্বজুড়ে তোমাদের ক্ষমতাধর পৃষ্ঠপোষকদেরও আমরা চিনি, যারা যুগে যুগে তোমাদের টিকে থাকতে সাহায্য করেছে, ধর্মের ব্যবসা থেকে মুনাফা লুটেছে। তোমাদের মূর্খতা, কূপমণ্ডূকতা এবং পাশবিক নিষ্ঠুরতার নমুনা তো সারাক্ষণ চারপাশেই দেখেছি; এবার নিজের জীবনেও দেখলাম।

আমার মাথার চাপাতির কোপগুলো এখনও পুরোপুরি সারেনি। আঙুলবিহীন হাতটা এখনও অবাক করে। আর অভিজিতের নিথর হয়ে পড়ে থাকা দেহটা তো চোখের সামনে ভেসেই থাকে। আর তখনই বুঝতে পারি– না, তোমাদেরকে ঘৃণাও করি না আমি, করতে পারি না। বড্ড অরুচি হয় তোমাদের মতো অমানুষদের ঘৃণা করতে। একজন মানুষকে ঘৃণা করার জন্য তাদের মধ্যে যতটুকু মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট থাকতে হয়, তার কণাটুকুও নেই তোমাদের মধ্যে। তোমরা আমার ঘৃণারও যোগ্য নও।

অভিজিৎ, আমি, বাবু এবং বর্তমান ও ইতিহাসের পাতা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের মতো হাজারো মানুষেরা তোমাদের অপকর্মেরই সাক্ষী। তোমাদেরকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলার সময় মানবসভ্যতা এই বর্বর উন্মাদনা দেখে ঘৃণায় শিউরে উঠবে, এ থেকেই সামনে এগিয়ে যাবার প্রতিজ্ঞা নেবে।

|| দুই ||

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে আমরা এখনও একটা শব্দও শুনলাম না। যে দেশের ‘ন্যাচারালাইজড’ নাগরিক আমরা সে সরকার যতটুকু বলল, আমাদের জন্ম নেওয়া দেশের সরকার তার ধারেকাছেও কিছু বলল না, ভয়ে সিঁটকে থাকল! বলুন তো, আপনাদের ভয়টা কোথায়? নাকি এ শুধুই রাজনীতির খেলা?

অভিজিতের বাবাকে নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেছিলেন কয়েক জন মন্ত্রী। সে খবর যেন গোপন থাকে, সে বিষয়ে সতর্কতাও নিয়েছিলেন তাঁরা। আমরা জন্মেছি যে দেশে– বড় হয়েছি যে দেশে– দেশের বাইরে এসে ভালো চাকরি, গাড়ি, বাড়ি নিয়ে শুধু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার চিন্তা না করে লেখালেখি করেছি যে দেশের জন্য– বারবার ফিরে এসেছি যে দেশের মায়ায়– সে দেশের সরকারের কি কিছুই বলার ছিল না?

বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়া, ব্লগগুলো তীব্র প্রতিবাদ করেছে; অভিজিৎ রায়ের লেখাগুলো অনুবাদ এবং পুনঃপ্রচারে নেমেছে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম। দেশের বিভিন্ন শহরে, আর দেশের বাইরে লন্ডন, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, টরন্টো, নিউইয়র্ক, বার্লিন, সিডনিতে মানববন্ধন থেকে শুরু অসংখ্য প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। অথচ বই মেলায় লোকে লোকারণ্য, আলোকিত ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার’ মধ্যে অভিজিতের মতো একজন লেখককে কুপিয়ে কুপিয়ে মারা হল, তার প্রতিবাদ জানিয়ে একটা কথাও কি বের হতে পারল না আপনাদের মুখ থেকে? অথচ আপনারাই আপনাদের ধর্মোন্মাদ বন্ধুদের দাবিতে নাস্তিক ব্লগারদের ধরে ধরে জেলে পুরেছিলেন। তাদের ধরে জেলে পুড়তে যে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন তার কণাটুকুও তো চোখে পড়ল না আজ!

অনেক সময় মৌনতাই অনেক কিছু বলে দেয়। আমরা কি ধরে নেব যে, অভিজিৎ বা বাবুর হত্যার পেছনে, আমাকে কোপানোর পেছনে, আপনাদেরও প্রচ্ছন্ন সম্মতি আছে? কলমের বিরুদ্ধে চাপাতির আঘাতই আপনারা এখন দেশের সংস্কৃতি হিসেবে মেনে নিতে বলছেন?

এক মাস চলে গেল। শুরুতে তদন্তের যাও-বা কিছুটা তাগিদ দেখলাম, তা আস্তে আস্তে মিইয়ে গেল। আপনাদের কাছ থেকে সহানুভূতি আশা করি না আমরা; সমর্থনের আশা তো বাদ দিয়েছি সেই কোন কালেই। আপনাদের ভোটের রাজনীতি করতে হয়, মন জুগিয়ে চলতে হয় কত ধরনের অপশক্তির, সেটা তো আমরা বুঝি। কিন্তু আপনাদের নিশ্চুপতার কারণটাও বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।

বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ যে ধীরে ধীরে আঁটি গেড়ে বসেছে, তার খবর তো আমরা সবাই জানি। তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেশবিদেশ জুড়ে কারা কাজ করছে তাও অজানা নয়। অভিজিতের হত্যা একজন দুজন লোকের হাতে হয়নি। এর পিছনে সংগঠিত ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাসী দলের হাত রয়েছে, তার প্রমাণ আমরা সঙ্গে সঙ্গেই পেয়েছি। না হলে এত তাড়াতাড়ি ‘আনসার বাংলা ৭’এর মতো দল হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করতে পারত না। এদের যদি সমূলে উৎপাটন করার ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা কি ভেবে দেখা দরকার নয় এখন? আইসিস, বোকো হারাম, আল-কায়েদার পথে জাতিকে ঠেলে দেওয়াটাই কি ভবিতব্য?

|| তিন ||

মানব সভ্যতা যখন আজ মঙ্গলগ্রহে বসতি বানানোর স্বপ্ন দেখছে, তখন আমরা মধ্যযুগীয় ‘উদ্ভট এক উটের পিঠে চড়ে’ পিছনের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। ক্ষমতাশালীরা সব সময় প্রগতির গলা চেপে ধরার অস্ত্র হিসেবে ধর্ম ও ধর্মীয় মৌলবাদ লালন করেছে। তারা জয়ীও হয়েছে কখনও কখনও। কিন্তু যত সময় লাগুক না কেন, মানবসভ্যতা তাকে হারিয়ে দিয়ে আবার এগিয়ে গিয়েছে।

অভিজিৎ শুধু লেখালেখি করেনি, দেশে মুক্তবুদ্ধিচর্চার এক দৃঢ় প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টাও করে গেছে আজীবন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাবেরী গায়েন আমাকে এক ব্যক্তিগত ম্যাসেজে লিখেছেন, ‘‘জানি, লেখার প্রতিবাদে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাটাই এখন আমাদের দেশের আইনি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তবে অভিজিতের মৃত্যুর পর একজন নাস্তিক এবং মুক্তবুদ্ধিচর্চাকারীর পক্ষে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আমাদের যে ট্যাবুটা ছিল তা ভেঙ্গে পড়েছে। চারদিকে মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই প্রায় এ নিয়ে লেখালেখি, মিটিং, মিছিল চলছে।’’

অভিজিতকে কুপিয়ে হত্যার বিনিময়ে এই অর্জন কতটা যুক্তিযুক্ত সে বিতর্কে না গিয়েই বলছি, সমাজ সরলরেখায় এগোয় না, কখনও হোঁচট খেয়ে, কখনও হাঁটি হাঁটি পা পা করে, কখনও-বা জনগণের প্রবল শক্তিতে বলিয়ান হয়ে তীব্রগতিতে সামনে এগিয়ে চলে। আজ অগুণতি অন্যায়, হত্যা, অরাজকতা, দুর্নীতি দেখতে দেখতে যে মানুষেরা মনুষ্যত্বহীন হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ফুটপাতে পড়ে থাকা চাপাতিতে কুপানো নিথর শরীরের দিকে, সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার কথাও ভাবতে পারে না, তারাই হয়তো একদিন জাগবে। ইতিহাস বলে, আমরাও এগুব; তবে দুপা আগানোর আগে আর কত পা পিছাতে হবে, সেটা হয়তো সময়েই বলে দেবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.