Sylhet Today 24 PRINT

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ কি ভেঙে যাচ্ছে?

বকলমের কলাম

শাখাওয়াৎ নয়ন |  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

গত বেশ কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করা গেছে, সিরাজ-চুন্নু (সি-চু) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, অস্ট্রেলিয়া শাখা কমিটির কারো কারো বিরুদ্ধে অযোগ্য নেতৃত্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগসহ অনেক অভিযোগ সিডনির রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচিত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, অস্ট্রেলিয়াসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিডনিস্থ বিভিন্ন সংগঠন এবং উপ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্য সভায়, এমনকি সি-চু আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হকের উপস্থিতিতে উক্ত কমিটির নেতাদেরকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একাধিক সভায় সি-চু কমিটির বিরুদ্ধে বক্তারা সুস্পষ্ট কণ্ঠে অভিযোগ এবং অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।

দ্বন্দ্ব-সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পত্র-পত্রিকাতে লেখালেখি হয়েছে, একপক্ষ আরেক পক্ষকে উকিল নোটিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা যায়, সি-চু কমিটির হায়াৎ আছে আর মাত্র দুই আড়াই মাস; কারণ একটি প্রভাবশালী মহল দুই/তিনটি সমীকরণ হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে; তাদের পরিকল্পনার এক শতাংশ বাস্তবায়ন হলেও সি-চু আওয়ামী লীগ ভেঙে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিডনির একজন রাজনীতিক বলেন, 'সি-চু কমিটি ভেঙে 'সি-মি' কমিটি হতে পারে। বর্তমান কমিটির সভাপতি নিজের পদ ধরে রাখার জন্য, তার সাধারণ সম্পাদককে উৎসর্গ করলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। এরকম একটি নেগোসিয়েশনের কথা বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।

আওয়ামী ঘরানার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেখক, সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই কৌতূহলী প্রশ্ন করেছেন, 'তবে কি সি-চু'র কমিটি ভেঙে যাচ্ছে?'

কারো কারো মতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও 'হাইব্রিড' এবং 'বনসাই' সমস্যা তৈরি হয়েছে| বহুধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের উপদলীয় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কিছু অনুচর ঘুণপোকার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।| পদলেহী, পদলোভী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাত্যাগী, প্লটাকাঙ্খী এবং ভ্রাতৃঘাতী কর্মকাণ্ডই সব কিছুর জন্য দায়ী|

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬) সিচু আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিচু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গামা আব্দুল কাদির আসেননি। এমন কি উক্ত কমিটির একজন নেতা, যিনি এসএমএস দিয়ে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছেন, সেই ড. রতন কুণ্ডুও আসেননি।

তাহলে কি তারা সিচু'র সাথে আর নেই? তাহলে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে?

উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে কখনো রাগান্বিত, কখনো স্থিরচিত্র আবার কখনো বেশ অপ্রতিভ মনে হয়েছে। তবে কি তিনিও জেনে গেছেন? কিন্তু উপায় কি গোলাম হোসেন? যাদেরকে উৎসর্গ করা হয়, তারা জেনেও কি কিছু করতে পারে?

শাখাওয়াৎ নয়ন : কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক।

  • এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.