Sylhet Today 24 PRINT

কোভিড-১৯: তথাকথিত সুইডিশ মডেল ও তার দেশীয় অন্তরায়

ডা. ময়ূখ চৌধুরী |  ১২ মে, ২০২০

গতানুগতিক লকডাউন এড়িয়ে, বেশ কিছু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, এমনকি রাজনীতির টেবিলেও সম্প্রতি বারবার উঠে আসছে সুইডিশ মডেলের কথা। যদিও সুইডেনের কোন রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে বিশেষ কোন মডেলের কথা উল্লেখ করা হয় নি, লকডাউনের বিকল্প হিসেবেই সুইডেনের স্বতন্ত্র জনস্বাস্থ্য নীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে এই মাতামাতি। এমনকি গত ২৯শে এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সমাবেশে মহাসচিব তেদ্রোস সুইডেনের এই কোভিডনীতিকে আগামীদিনের ব্যবস্থা তথা এক্সিটপ্ল্যান বলে অভিহিত করেন। কি এই সুইডিশ স্ট্র্যাটেজি? আদৌ কতটুকু কার্যকর এই ব্যবস্থা আর আমাদের বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কতটুকুই বা সামঞ্জস্যকর এ মডেল? এসব নিয়েই আমার আজকের বাক-বচসা।

বিজ্ঞাপন

প্রথমেই সংক্ষেপে সুইডেনের করোনানীতির হালনামা দেখে নেই। তাত্ত্বিকভাবে সুইডেনের কোভিডনীতি তাদের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যগত দর্শনের উপর স্থাপিত। সরকার প্রধান স্টেফান লফভেনের পূর্ণ আস্থায় সুইডিশ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট ট্যাগনেল রয়েছেন নীতিনির্ধারণের ফ্রন্টলাইনে, যার অনেকটাই নাগরিকদের প্রতি আস্থাকে কেন্দ্র করে, কঠোরতা বিবর্জিত। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রথম কেস, তার এক মাস পরে দ্বিতীয় কেস ধরা পড়লেও, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ইতালিফেরত স্কি-প্রেমীদের প্রত্যাবর্তনে হুহু করে বাড়তে থাকে উত্তর গোলার্ধের দেশটির করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এমতাবস্থায়, মধ্যমার্চে প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন দেশের উদ্দেশ্যে খুব সহজ একটা আহবান জানান– “নিজ নিজ অবস্থা থেকে স্বীয় দায়িত্ব তুলে নিন।“ সাথে সাথেই আরোপিত হয় তথাকথিত সুইডিশ মডেল, সীমিত করা হয় গণজমায়েত, দুই মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা, অত্যাবশ্যকীয় সেবা ছাড়া বাকিদের বাসা থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়, হাইস্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনলাইন করা হয়, রেস্তোরাঁগুলোর অনেকেই নিজেদের সেবা ছোট করে দেয় এবং শক্ত স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়। তবে সরকারের মূল লক্ষ্য ছিলো রোগের গতিকে শিথিল করে দেয়া যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে না পড়ে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যখাতকে প্রস্তুত করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীদের নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়, যা পরের আলোচনায় আসবে।


Figure 1 এপ্রিল ১৫, স্টকহোমে একদিন, লকডাউনহীন সামাজিক দূরত্ব

সার্বিকভাবে, সুইডিশদের বাধ্যগত তথা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক ব্যবহারের কারণেই হয়তো সুইডেনের এই সেমি-লকডাউন অনেকাংশেই বহুরাষ্ট্রে কঠোরভাবে প্রণীত লকডাউনের সমানভাবে কার্যত। অনেক মাধ্যমেই সুইডিশনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে হার্ড ইম্যুনিটিকে বলা হয়, যেটাকে সম্পূর্ণ অসঠিক বলেছেন সুইডেনের প্রবীণতম জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী য়োহান, যিনি একই সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিবের পরামর্শক। যদিও তার মতে, সুইডিশনীতিতে এক পর্যায় বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে হার্ড ইম্যুনিটি আশা করা যেতে পারে। তবে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মিলিয়ে, এই নীতি মোটেও তর্কের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যান্য স্কেন্ডিনেভিয়ান দেশ, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডের চেয়ে সুইডেনে প্রতি মিলিয়নে কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৬ গুন বেশি। সুইডেনেরি এই মৃত্যুর হার ইতালি কিংবা ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেকাংশে কম হলেও, সুইডেনের ২,৯৪১ মৃত্যুকে ছোট করে দেখবার কোন সুযোগ নেই। এজন্য অনেকাংশেই দায়ী করা যেতে পারে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আন্তর্জাতিক বর্ডার কন্ট্রোলে পদক্ষেপ না নেয়া এবং স্টকহোমে-কেন্দ্রিক বিশাল অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে তথ্যের অপ্রতুলতাকে।

Figure 1কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর হার (প্রতি দশ লক্ষে)

এবার আসা যাক বাংলাদেশে হালনামায়, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শতচেষ্টার পরেও শেষ নিস্তার পাওয়া যায়নি করোনার হিংস্র ছোবল থেকে । দেরীতে হলেও, আঘাত হেনেছে কোভিড১৯, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের রোগবিস্তারের নিম্নমুখী হারের বিপরীতে বাংলাদেশের গ্রাফ আশঙ্কাজনকভাবে ক্রমবর্ধমান। বর্তমান পরিস্থিতিতে, জনস্বাস্থ্য নীতি আর অর্থনীতির মেলবন্ধনে বিবিধ পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে সুইডিশ মডেলের উদাহরণ। কিন্তু দেশের প্রেক্ষিতে সুইডিশ মডেলে আত্তীকরণের রয়েছে অগণিত অন্তরায়, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দিক তুলে ধরলাম -

বিজ্ঞাপন

জনসংখ্যার ঘনত্ব
সুইডেনের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি যেখানে শুধু আমাদের ঢাকার জনসংখ্যাই প্রায় ২কোটির কাছাকাছি। সুইডেনে যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যেখানে ২৩ জন লোকের বসবাস, বাংলাদেশে ১১০০র উপরে। অর্থাৎ, শক্তনিয়ন্ত্রণ ছাড়া ভোগলিকভাবেই আমাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রকট।

সামাজিকভাবে সামাজিক দূরত্ব!
গোলার্ধের পাশের ঠাণ্ডার কারণেই হোক আর নেহায়েত ঐতিহ্য, সুইডিশরা এমনিতেই সামাজিকভাবে যথেষ্ট বিরাগী! বাসে বা মেট্রোতে পাশাপাশি বসাটা খুব সচরাচর দেখা যায়না, পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যেও খুব একটা কুশল বিনিময়ের চল নেই। বাংলাদেশে যেখানে বাড়ির উঠান থেকে চায়ের টং, সামাজিক বন্ধন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ । তাই কঠোরতা ছাড়াই এই সামাজিক দূরত্ব কায়েম রাখা আমাদের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রমের বটে!

ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী-কেন্দ্রিক ব্যবস্থা
সুইডেনের কোভিডজনিত কারণে মৃতদের প্রায় ৯৬ শতাংশের বয়স ৬০ এর উপরে, যাদের বিশাল অংশের জন্য আছে পৃথক স্বাস্থ্য-আবাসন ব্যবস্থা, সুইডিশ মডেলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতেও আছেন তারা। উল্লেখ্য, সুইডেনের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ বিশেষ স্বাস্থ্য-আবাসন কেন্দ্রে বাস করেন, তাদের স্বাস্থ্য-আবাসন কেন্দ্র গুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহিরাগতদের প্রবেশ। স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেইন করা হয়েছে, নেয়া হয়েছে পিপিইসহ (কিছু জায়গায়) অজস্র প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। তবে, সুইডেনের এই বয়েসী জনগোষ্ঠীর আবাসন এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিমিত্তে বিশেষ ব্যবস্থা আছে বিধায় তাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেয়া অনেকাংশেই সহজতর হয়েছে বাংলাদেশের তুলনায়। অন্যদিকে বাংলাদেশে মৃতদের ৯৫ শতাংশের বয়স ৪০ এর উপরে, যার মধ্যে জাতির চালিকাশক্তি অন্তর্হিত, তদুপরি নেই কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা, অথবা গোছানো তথ্য-উপাত্ত। তবে সঠিক নির্ণয়ের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে পৃথকীকরণ এবং তাদেরকে কেন্দ্র করে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে।

চিকিৎসক-সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার উত্তর-দক্ষিণ
অবকাঠামোগত তারতম্য বাদ দিলেও, সুইডেনে যেখানে প্রতি হাজার মানুষের জন্য প্রায় ৫ জন ডাক্তার রয়েছেন, বাংলাদেশে অন্তত দেড় হাজারে একজন। উপরন্তু সুইডেনে কোন চিকিৎসকের মৃত্যু না হলেও বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই অন্তত ২ জন চিকিৎসক শহীদ হয়েছেন, আক্রান্ত প্রচুর, আইসিইউতে ভর্তি অনেকে। যদিও এখনো কোন উপাত্ত আসেনি, অপ্রতুল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রেফারেল সিস্টেমের অভাবের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবকদের ঝুঁকি নিযুতাংশে বেশি বলে আমার ধারনা। আমাদেরকে ভালো করে মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুষড়ে পড়লে অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের সঠিক সেবার অভাবে মৃত্যুর বিশাল সম্ভাবনা থেকে যাবে। সরকার ইতিমধ্যেই ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ, বিশেষজ্ঞ আবেদনবিদ নিয়োগ সহ অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু পিপিই র মান নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি, রোগ নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঝুঁকি এড়ানো মোটাদাগে অসম্ভব।

পারস্পরিক বিশ্বাসের ঘাটতি
মৃদু-মধ্যম সমালোচনা থাকলেও সুইডেনের নীতি এখন পর্যন্ত কার্যকর আছে শুধুমাত্র পারস্পরিক আস্থার উপরে নির্ভর করে। সুইডিশ নাগরিকদের বেশিরভাগের স্বেচ্ছা-লকডাউন এবং সরকারের নীতির উপর আস্থা রেখে নিয়ম মেনে চলাতেই সুইডিশ মডেল এখনো টিকে আছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে এদিক থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আমরা। রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সংবেদনশীল দিকগুলো বাদ দিলেও, রোগীদের ইতিহাস লুকানো এবং নীতিনির্ধারকদের নির্ধারিত মানানুযায়ী প্রতিরক্ষা প্রদানে ব্যর্থতায় স্বাস্থ্যকর্মীরা আশংকাজনকভাবে অনাশ্বস্ত থাকেন, প্রভাব হিসেবে সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয় সাধারণ জনগণ। তদুপরি, এ সমস্যায় ক্যাটালিস্ট হয়ে বর্তিয়ে আছে সামাজিক স্টিগমা। যাইহোক, একরাতে বদলে যাবার মত বিষয় এটা না, তবে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারে এ চিত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি; মুখোমুখি নয়, পাশাপাশি!
আসছি এবার সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটাতে। প্রমাণিতভাবে অর্থনীতি জনস্বাস্থ্যের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদেরকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রেখে কোন সমাধানই দীর্ঘমেয়াদি টেকসই না, অর্থনৈতিক মন্দা শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে নয়, এমনকি সামাজিকভাবেও অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে সম্মুখীন করে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বাদ দিয়ে অর্থনীতিতে মনোযোগ সহজেই জনস্বাস্থ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ভেবেই দেখুন, কলকারখানা চালাবার মত সুস্থসবল লোকবলই যদি না থাকে, তাহলে কিভাবে চলবে জাতীয় অর্থনীতির চাকা? তথাকথিত সুইডিশ মডেলে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার অন্যতম হলো জব-ইনস্যুরেন্স সহজীকরণ এবং কিছু ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে ভর্তুকি দিয়ে সচল রাখা, লোনের কিস্তি সহজ করা, সুদ কর্তন করা ইত্যাদি। অন্যদিকে বাংলাদেশেও প্রণোদনার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রকে সচল রাখার চেষ্টা দেখা গেছে যদিও অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ ব্যবসায়িকস্থানে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিধি প্রণয়নে তেমন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নাই।

সবশেষে বলতে হয়, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, কোভিড১৯ রুখতে এখন পর্যন্ত একমাত্র লক-ডাউনই পরীক্ষিত পন্থা, অন্তত যতদিন না জনসংখ্যা পর্যায় যতদিন রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠ। সামগ্রিকভাবে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্কেলে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে তখনই যখন কার্যকরী কোন ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হবে, প্রয়োগ হবে অথবা হার্ড ইম্যুনিটি গড়ে উঠবে, সংক্ষেপে এতটুকুই বলবো, যার কোনটার সম্ভাবনাই আমরা খুব নিকট ভবিষ্যতে দেখতে পাচ্ছিনা। সেক্ষেত্রে একসময় হয়তো রোগের সাহচর্য মেনে লক-ডাউন শিথিলতার অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে, কিন্তু তখনই যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাড়তি চাপ নেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে, যখন ঝুঁকি নিরীক্ষা করে পরিষ্কার রোডম্যাপ তৈরি থাকবে। এর আগে হুট করে যেকোনো সিদ্ধান্তই আত্মঘাতী প্রমাণিত হতে পারে। কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিয়ো না, অন্তত সিদ্ধান্ত যখন প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বরাত নিয়ে।

ডা. ময়ূখ চৌধুরী: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এস. এস. স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবি, স্টকহোম।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.