Sylhet Today 24 PRINT

এ আর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা

বিনোদন ডেস্ক |  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

২০১১-১২ অর্থবছরে একটি বিশেষ আয়ের কর ফাঁকির অভিযোগে ভারতীয় আয়কর বিভাগ মাদ্রাজ হাই কোর্টে এ আর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এর জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।

আইনি ওই নোটিশে লেখা হয়েছে, ‘তিনি যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে যা আয় করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ আয়করের অধীনে। এই অর্থ দিয়ে তিনি যা খুশি তা–ই করতে পারেন, তবে আয়কর পরিশোধের পর। কিন্তু সরাসরি কর ফাঁকি দিয়ে তিনি ফান্ডে তার পারিশ্রমিক নিতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। ২০১১ সালের ভারতীয় মুদ্রায় তিনি ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন, যার আয়কর পরিশোধযোগ্য।

২০১১ সালে লিবরা নামের একটি ব্রিটিশ মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করেন এ আর রহমান। কোম্পানিটির জন্য রিংটোন বানানোর দায়িত্বে ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। কথা ছিল, এ জন্য এ আর রহমানের ইংল্যান্ড সফরের সব খরচ বহন করবে এই টেলিকম ব্র্যান্ড। আর প্রতিবার ওই রিংটোন ডাউনলোড বাবদ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবে। সব মিলিয়ে প্রথম বছরে এ আর রহমান পান সাড়ে সাত লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ সময়ে যা প্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সমান। অভিযোগ উঠেছে, এ আয় বাবদ কোনো কর দেননি এই সংগীত তারকা।

২০০৬ সালে এ আর রহমান একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান খোলেন। নাম ‘এ আর রহমান ফাউন্ডেশন’। বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করা ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া এ সংস্থার কাজ। এ আর রহমান তার নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা না নিয়ে এ সংস্থার একাউন্টে টাকা নেন।

ইনকাম ট্যাক্সের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে যে অর্থ যাবে, তা দান হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এর কোনো আয়কর দেওয়া লাগবে না।

কিন্তু কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের পর সরাসরি সেই অর্থ কোনো ফাউন্ডেশনের ব্যাংক একাউন্টে নেওয়া যাবে না। লিবরা কোম্পানি তো এ ফাউন্ডেশনে এই অর্থ দান করেনি। পারিশ্রমিক আগে নিজের ব্যাংক একাউন্টে রেখে আয়কর দিয়ে তারপর ওই অর্থ দাতব্য সংস্থায় দেওয়া যাবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.