সিলেটটুডে ডেস্ক | ৩১ অক্টোবর, ২০২০
জেমস বন্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল যার মাধ্যমে সেই শন কনেরি মারা গেছেন। তিনি স্পাই থ্রিলারের সাতটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাহামা দ্বীপে অবস্থানকালে ঘুমের মধ্যেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে তার ছেলে।
বিবিসি জানিয়েছে, জাতিতে স্কটিশ এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ‘কিছু সময় ধরে’ তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে তার ছেলে জ্যাসন কনেরি জানিয়েছেন।
চার দশকের অভিনয় জীবন ছিল তার। ‘দ্য আনটাচেবলস’ চলচ্চিত্রে একজন আইরিশ পুলিশের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল বন্ড সিরিজের ৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন শন। ১৯৮৮ সালে ‘দ্য আনটাচেবল’ চলচ্চিত্র তাঁকে এনে দেয় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার। এ ছাড়া ‘মেরিন’, ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’, ‘দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর’, ‘ড্রাগনহার্ট’, ‘দ্য রক’ সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করেছিলেন।
শন কনেরির ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগে প্রকাশিত হলো একটি জরিপের ফল। অনেকেই তো অভিনয় করলেন বন্ডের চরিত্রে। শ্রেষ্ঠ বন্ড কে? রেডিও টাইমস-এর পাঠকেরা শ্রেষ্ঠ বন্ড নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ বন্ড হয়েছেন শন কনেরি। তার কাছে হেরেছেন রজার মুর, পিয়ার্স ব্রসনান, ড্যানিয়েল ক্রেইগের মতো বন্ডেরা। ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন শন কনেরি। একটি অস্কার ছাড়াও অভিনয়জীবনে দুটি বাফটা আর তিনটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন শন।
১৯৬২ সালে ‘ডক্টর নো’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বন্ড-এর দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শন কনারি। সেই থেকে সিরিজের প্রথম পাঁচটি ছবিতেই বন্ড হয়েছিলেন তিনি। তার পরের ছবিগুলো ছিল ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) ও ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ (১৯৬৭)।
প্রথম পাঁচটি ছবির পরও ১৯৭১ ও ১৯৮৩ সালে ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ও ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ ছবিতে আবারও বন্ড হিসেবে দেখা দেন তিনি। বন্ড সিরিজের এই সাত ছবিই বাণিজ্যিকভাবে সফল।