Sylhet Today 24 PRINT

কোন গানের সঙ্গে নেচেছেন: শাওনকে প্রশ্ন সরলপুরের

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৫ নভেম্বর, ২০২০

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গান নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। গানটির কপিরাইট বিতর্কে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের এক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরলপুর ব্যান্ড।

একটি সংবাদমাধ্যমে মেহের আফরোজ শাওন বলেছিলেন, তিনি ছোটবেলাতেই এ গানের সঙ্গে নেচেছেন।

শাওনের সেই উক্তি উল্লেখ করে সরলপুর ব্যান্ড প্রশ্ন রেখেছে, মেহের আফরোজ শাওন কোন গানের সঙ্গে নেচেছেন? গসিপ না ছড়িয়ে তা সবার সামনে হাজির করুন। কোথাও কি তার কোন অস্তিত্ব আছে?

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি নিয়ে ছড়ানো কিছু তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন সরলপুর ব্যান্ডের ভোকাল মারজিয়া আমিন তুরিন।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী শাওনের কণ্ঠে গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গানটি ইউটিউব ও ফেসবুকে মুক্তি পায়।

অবমুক্তের পর থেকেই সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয় এবং কপিরাইট ইস্যুতে বিতর্কের জন্ম দেয়।

ব্যান্ডদল সরলপুরের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, গানটি তাদের একটি আনরিলিজ ট্র্যাক। কিন্তু চঞ্চল-শাওনের কণ্ঠে গানটি পরিবেশনের সময় সংগৃহীত গান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সরলপুরের ক্রেডিট দেয়া হয়নি। অনুমতিও নেয়া হয়নি ব্যান্ডদলটি থেকে।  

এমন দাবি ও বিতর্কের মধ্যেই কপিরাইট ইস্যুতে গানটি সরিয়ে নেয় ইউটিউব।

এরপর বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষই নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়।

সেই বিতর্ক ফের ফিরে এসেছে সঙ্গীতাঙ্গনে।

এ বিষয়ে সরলপুর ব্যান্ডের ভোকাল তুরিন বলেন, আমাদের গানটি হুবহু কপি করেছে গেয়েছে তারা। চুরি ঢাকতে এখন বিভিন্ন গবেষণাপত্র এনে হাজির করছেন তারা। আমাদের গানটি চুরি না করে তারাই কি পারত না সেসব থেকে নিজের মতো করে কিছু সৃষ্টি করতে? আপনারাই ভেবে দেখুন কার নিন্দিত হওয়ার কথা?

তিনি বলেন, আমরা কি তারকাখ্যাতির কাছে হেরে যাব? অগ্রজরাই যদি আমাদের পথে কাঁটা বিছিয়ে দেন তাহলে নতুন গানের দল, নতুন গান কিংবা শিল্প কী করে সৃষ্টি হবে?

মাস খানেক আগে ‘যুবতী রাধে’ গানটি নিয়ে বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের সহপরিচালক সাইমন জাকারিয়ার বক্তব্যকেও ‘নিরপেক্ষ নয়’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তুরিন আরও বলেন, সাইমন জাকারিয়া যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন, সেখানে তিনি একটি গান প্রমাণস্বরূপ উপস্থাপন করে বলেছেন- যুগ যুগ ধরে আমাদের গানটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন কীর্তনে গাওয়া হয়ে আসছে। অথচ ভিডিওটি ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে আমাদের গানটিই হুবহু গেয়েছে নবনিত্য সম্প্রদায় বলে একটি গোষ্ঠী। আমরা মনে করি, কোন দায়িত্বশীল গবেষকের উচিত সচেতনভাবে এ ধরনের অমার্জনীয় অপরাধ না করা। কিংবা ভুল হলেও তা পরবর্তীতে সংশোধন করে নিজের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতেই প্রমাণিত হয়, তিনি নিরপেক্ষ গবেষক নন। তার গবেষণার পেছনে কারো স্বার্থ লুকায়িত।

এখন পর্যন্ত বরাবরের মতো কপিরাইট অফিসের প্রতিই আস্থা রাখছেন বলে জানান তুরিন। অন্যথায় আদালতে যেতে প্রস্তুত আছে তার সরলপুর ব্যান্ড।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.