Sylhet Today 24 PRINT

‘বাজিরাও মাস্তানি’ ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত

বিনোদন ডেস্ক |  ২১ নভেম্বর, ২০১৫

ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বিতর্কে সঞ্জয় লীলা বনশালীর আসন্ন সিনেমা ‘বাজিরাও মাস্তানি’।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের এক বংশধর এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিহিত চেয়েছেন। তাঁর দাবি, সিনেমায় প্রথম বাজিরাও এবং তাঁর দুই স্ত্রী কাশীবাই ও মস্তানির জীবনকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংহ অভিনীত এই সিনেমা খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে। ক্ষুব্ধ পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের উত্তরসূরী প্রসাদরাও পেশোয়া সিনেমার ট্রেলার দেখে চিঠিতে লিখেছেন, সিনেমার স্বাধীনতার নামে প্রকৃত ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাও-এর দুই স্ত্রীকে নিয়ে সিনেমায় একটি গানের দৃশ্য রয়েছে। ইতিহাসের সঙ্গে এর কোনও মিলই নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, মরাঠি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ‘পিঙ্গা’ নৃত্য। কিন্তু সিনেমায় ওই বিশেষ নৃত্যশৈলিকে কার্যত আইটেম ডান্সে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

প্রসাদরাও বলেছেন, সুযোদ্ধা রাজা শ্রীমন্ত বাজিরাও পেশোয়া এবং সামগ্রিকভাবে পেশোয়া ঐতিহ্য মরাঠিদের কাছে গর্বের বিষয়। ঐতিহাসিক চরিত্ররা সর্বদাই সম্মানীয়। কিন্তু ইতিহাসের ঘটনা ও কাহিনীকে সংশ্লিষ্ট সিনেমায় বিকৃত করা হয়েছে। মরাঠি ইতিহাস, চেতনা ও ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান বরদাস্ত করতে না পেরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রসাদরাও।

সিনেমা সম্পর্কে অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। ইতিহাস অনুসারে, বাজিরাও বল্লাল ভাট (পেশোয়া প্রথম বাজিরাও হিসেবেই সমধিক পরিচিত) ১৭০০ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।

১৭২০ থেকে ১৭৪০ পর্যন্ত শাসন করেন তিনি। ১৭৪০-এর ২৮ এপ্রিল যুদ্ধে তিনি নিহত হন। তিনি ৪৩ টি যুদ্ধে অপরাজিত ছিলেন।

পেশোয়ার অপর এক বংশধর জানিয়েছেন, কাশীবাই খুব অল্প বয়সেই আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হন। জীবনের বেশিরভাগই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি খুবই বিদূষী ছিলেন এবং তাঁর নিজস্ব গ্রন্থাগার ছিল। হাঁটুর ব্যাথায় তিনি খুবই কাবু থাকতেন। তাই তাঁর পক্ষে নাচাটা অসম্ভব ব্যাপার ছিল।

তাছাড়া রাজপরিবারের বধূরা কখনও প্রকাশ্যে নাচতেন না। সূত্র: এবিপি আনন্দ

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.