সিলেটটুডে ডেস্ক | ৩০ জানুয়ারী, ২০২২
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) শিল্পী সমিতির ভোটের দিন এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে ‘চুমু দিতে বলেছিলেন’ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নির্বাচনে হেরে যাওয়া নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুটি কিস (চুমু) চেয়েছিলেন।
‘ওই কথা শোনার পর আমার মনে হয়েছিল তার দুই গালে কষে দুইটা চড় মারি এবং ওখানেই নির্বাচন বয়কট করি, কিন্তু আমরা চেয়েছি নির্বাচনটা হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচন দাবি করেন। এ সময় তাকে সমর্থন দেন নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
ভোটের লড়াইয়ে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরেছেন নিপুণ। জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট; নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। নিপুণের ১৪ ও জায়েদের ১২টি ভোট বাতিল হয়। এ ভোটগুলো যাচাইয়ের জন্য আপিল করেন নিপুণ। আপিলেও জায়েদ খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ বেশ কিছু অভিযোগ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন, এফডিসির এমডি নুসরাত ইয়াসমিনসহ মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমরা ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেও জায়েদ খান অন্য জায়গায় ছিলেন, যেটি নিয়মবহির্ভূত। নির্বাচন কমিশনারকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি।’
এ সময় নিপুণ প্রজেক্টরের মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখান এবং দাবি করেন ওই ভিডিওটি অভিনেত্রী মুনমুনকে জায়েদ খানের টাকা দেয়ার প্রমাণ।
পাশাপাশি তিনি দুটি স্ক্রিনশট দেখান, যেখানে কোনো একজনের সঙ্গে জায়েদ খানের কথোপকথন রয়েছে। সেটিও জয়েদের প্রভাব খাটানোর প্রমাণ।
নিপুণ বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইমন সাদিক, রিয়াজ, জেসমিন, জাদু আজাদ, আরমানসহ অনেকে।