বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মুম্বাইয়ের আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছর ধরে চলতে থাকা এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায়ে বলা হয়, “অভিনেতার বিরূদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।”
এরপর কাঠগড়ায় উপস্থিত সালমানকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “আপনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন কোন লাইসেন্স ছাড়াই এবং আপনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।”
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সালমানের সাদা রঙের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে বান্দ্রার একটি বেকারির সামনের ফুটপাতে। এই দুর্ঘটনায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা এক ব্যাক্তি নিহত হন এবং দুজন আহত হন। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি সে সময় মদপ্য অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
প্রথমে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা চললেও ২০১৪ সালের এপ্রিলে এই মামলায় নতুন করে বিচার শুরু হয়। এবার সালমানের বিরূদ্ধে আনা হয় দণ্ডনীয় নরহত্যার (কাল্পেবল হোমিসাইড) অভিযোগ।
গত এক বছর ধরে চলা এই মামলার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তার বিরূদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন সালমান। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি চালকের আসনে ছিলেন না এবং মদ্যপানও করেননি। এর কিছুদিন পরেই সালমানের গাড়ি চালক অশোক সিং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং সালমান মদপ্য ছিলেন না।