Sylhet Today 24 PRINT

বিটিভি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল- অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন- বাংলাদেশ টেলিভিশন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল। বিটিভি প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর পশ্চিম পাকিস্তানে টিভি স্টেশন হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক |  ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

বিটিভির সুবর্ণ জয়ন্তীতে অর্থমন্ত্রী


বেসরকারিভাবে প্রথমবারের মতো জাপানের এলসি কোম্পানি বাংলাদেশে টেলিভিশন চালু করে। এই টেলিভিশন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দিশারীর ভূমিকা পালন করেছে।  তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)’র সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সিলেট নগরীর কাজিটুলাস্থ সম্প্রচার উপকেন্দ্রে বিটিভির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভির সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক উত্তরপূর্ব’র প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাস গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘টেলিভিশন হচ্ছে শিক্ষা ও বিনোদনের মাধ্যম। এটি দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছে। ক্রমাগত প্রযুক্তির বিকাশে মানুষের সাথে যোগাযোগ সহজ থেকে সহজতর করে দিয়েছে। এটা দেশ ও মানুষের জন্য মঙ্গলজনক।’ আমরা ভাগ্যবান আমাদের জন্ম টেলিভিশন যুগে হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন- বিটিভি শুধু বিনোদনের খোরাকই যোগাচ্ছে না; মানুষকে পরিবেশ সচেতন করার পাশাপাশি শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সামাজিক শৃঙ্খলা আনয়নেও বিটিভির অবদান রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিটিভির অবদানের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন- বিটিভিতে তখন গণমুখী নানা অনুষ্ঠান প্রচার করা হতো। প্রতিযোগিতায় টিকতে বিটিভি সংশ্লিষ্টদের আরো গণমুখী হওয়ার আহবান জানান তিনি।    বিটিভি সিলেট উপকেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার মো. আব্দুল কাইয়ুমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য  সৈয়দা জেবুন্নেছা হক,  জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল আহসান, লন্ডন বাকিং এলাকা থেকে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি প্রার্থী মিনা রহমান, সিলেট জেলা জাসদের সভাপতি কলন্দর আলী, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা, সিলেট বিভাগীয় তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক কর্নেল (অব.) ডা. আবিদুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের সহ-সভাপতি মাহি উদ্দিন সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল-আজাদ, দৈনিক উত্তরপূর্ব’র বার্তা সম্পাদক তাপস দাস পুরকায়স্থ, দৈনিক যুগভেরীর নির্বাহী সম্পাদক অপূর্ব শর্মা, দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান ফখরুল ইসলাম, সময় টিভির ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির, সাংবাদিক ছামির মাহমুদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বৃটেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা গয়াসুর রহমান, কবি ও শিক্ষাবিদ লুৎফুন্নেছা লিলি, লেখক ও সমাজসেবক আব্দুল মুহীদ চৌধুরী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মারিয়াম চৌধুরী মাম্মি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল প্রমুখ। পরে অতিথিরা সুবর্ণ জয়ন্তীর কেক কাটেন। এছাড়া সিলেটের স্বনামখ্যাত শিল্পিবৃন্দ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন। 

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.