অভিনয়শিল্পী নোভার বিবাহবিচ্ছেদ

তারকা জগতে ভাঙনের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। মডেল, অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক নোভার সঙ্গে স্বনামধন্য নাট্যপরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও নাট্যকার রায়হান খানের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

গত ২৬ আগস্ট ঢাকা জজকোর্ট কাজী অফিসে তারা দু’জনই তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন। পারস্পরিক সম্মতিতে এই বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে এতদিন গোপন ছিল খবরটি।

রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নোভা নিজেই গণমাধ্যমকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের ৪৪ দিন পার হয়ে গেছে। আমরা আগেভাগেই বিষয়টা সবাইকে জানাতে চাইনি। তবে এর মধ্যেই অনেকেই বিষয়টি জেনে গেছেন। আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্তেই আলাদা হয়েছি। আমরা চাই না, আমাদের এই ছাড়াছাড়ির বিষয়টা নিয়ে কোনো নোংরামি হোক। আমারা আমাদের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান এখনো অটুট আছে।’

এ বিষয়ে রায়হান খান বলেন, ‘আমি ছিলাম বাড়ির ছোট ছেলে। কখনোই তেমন দায়িত্ব নিতে হয়নি। তাই সংসারের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। ঝগড়া ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আমরা এই দূরত্বকে আর বাড়তে দিতে চাইনি। আমি এখনও আশাবাদী, আমি সমস্যাগুলো যদি কোনো দিন মেটাতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই নোভা আবার আমার সংসারে আবার ফেরত আসবে।’

তবে বিচ্ছেদের কারণ আরও বিস্তারিত জানালেন নোভা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সমস্যা তো ছিলই। রায়হানের অপরিকল্পিত জীবনযাপনের কারণে আমাকে নানাজনের কাছে বিভিন্নভাবে অপমান সহ্য করতে হয়েছে। আমি ডাল-ভাত খাব কিন্তু কেউ আমাকে অপমান করবে, এটা সহ্য করব না। পাওনাদার কেন আমার বাড়ীতে আসবে? আমার কাছে যা আছে, তাই নিয়ে আমাকে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। কিন্তু, রায়হানের স্বভাব তেমন নয়। এটাই আমাদের মাঝে ঝামেলা তৈরির প্রথম কারণ।’

উল্লেখ্য, দেড় বছর প্রেমের পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর রায়হান ও নোভা বিয়ে করেছিলেন। নোভা ছিলেন রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী। সান্নিধ্য নামে তাদের একটি ছেলেও আছে।

এর আগে রায়হান খান আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগেই তার ছাড়াছাড়ি হয়। ওই সংসারেও তার একটি ছেলে আছে।