Sylhet Today 24 PRINT

১৬ নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘হাসিনা-অ্যা ডটার’স টেল’

বিনোদন ডেস্ক |  ০৯ নভেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘হাসিনা-অ্যা ডটার’স টেল’ মুক্তি পাবে আগামী ১৬ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই এই ফিচার লেন্থ ডকুমেন্টারির ট্রেলার ও একটি গান মুক্তি পেয়েছে অনলাইনে।

তথ্যচিত্রে শেখ হাসিনাকে একজন মমতাময়ী মা, স্নেহময়ী বোন এবং দায়িত্বশীল একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ৭০ মিনিটের এই ডকুমেন্টারি পরিচালনা করেছেন পিপলু আর খান। দেশের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে তথ্যচিত্রটি।   

পরিচালক পিপলু খান বলেন, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমা, স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে তথ্যচিত্রটি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু এই কাজটা করার সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কাজ করিনি। একজন সাধারণ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যাকেই দেখছি। এর বেশি আর কিছু দেখার দরকার নেই। আমার ডকুমেন্টারিতে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে যাইনি। আমাকেও সেই স্বাধীনতা তিনি দিয়েছেন। বলেছেন, ছবিটাকে আমি যেভাবে দেখতে চাই, সেভাবেই যেন কাজটা করি। বাঁধা-ধরা কোনো ব্রিফিং ছিল না।

এছাড়া কাজটি যেহেতু একজন পলিটিক্যাল ফিগার নিয়ে, এটার ইতিহাস নিয়ে বেশ রিসার্চ করতে হয়েছে। এই রিসার্চ করতে আমাদের বেশ কিছু সময় চলে গেছে। এখানে শেখ হাসিনাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পরিচালক।

মুক্তি পাওয়া ট্রেলারটি সম্পর্কে পিপলু বলেন, ট্রেলারে কিন্তু আমারা শেখ রেহানার কণ্ঠ শুনেছি। আমি ইচ্ছা করেই ট্রেলারে শেখ হাসিনার কণ্ঠ রাখিনি। এমনকি তাকে পুরোপুরি দেখায়নি। তার উপস্থিতি এবং কণ্ঠ দর্শক-শ্রোতাদের জন্য আরও বড় চমক হয়ে থাক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছিল ছবির প্রথম ঝলক। ২১ অক্টোবর রাতে প্রকাশ পায় তথ্যচিত্রটির একটি গান। ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না ফুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা’ শিরোনামের গানটির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে টুঙ্গিপাড়া বিভিন্ন দৃশ্য।

কিন্তু কেন এই গানটি ব্যবহার করা হল? উত্তর পাওয়া যায় গানের প্রথম অংশেই। নেপথ্য কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘বাবা করাচি থেকে ঢাকা ফিরে এলেন। তখন এই গানটা, পান্না লালের গাওয়া ‘‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না ফুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা’’ বারবার শুনে যাচ্ছেন, বারবার শুনে যাচ্ছেন।’

কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্র নতুন করে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন এবং গেয়েছেনও। গানটির পাশাপাশি গানের মধ্যেই তিনবার আছে শেখ হাসিনার কণ্ঠ।

দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘টুঙ্গিপাড়া আমার খুবই ভালো লাগে, ভীষণ ভালো লাগে। এখানে এলেই আমার মনে হয় আমি মাটির কাছে ফিরে এসেছি, আমি আমার মানুষের কাছে ফিরে এসেছি। আমার তো মনে হয় টুঙ্গিপাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।

ভিডিওটির একদম শেষ ভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন তার নিজেকে নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার কোনো স্মৃতি রাখতে চাই না। এগুলো অপাংক্তেয়, প্রয়োজন নাই। এটা হলো একদম রূঢ় বাস্তবতা।’

তথ্যচিত্রটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এখানে একেবারেই পাওয়া যাবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের বাবাকে কীভাবে দেখেছেন, কেমন ছিল সেই দিনগুলো, সেই কথাই বলা হয়েছে ডকুমেন্টারিটিতে। এমনটাই জানিয়েছেন পিপলু।

এখন অপেক্ষা পুরো ছবিটি দেখার। রাজধানী ও চট্টগ্রামে ছবিটি দেখার পর দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখানো হবে ছবিটি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.