Sylhet Today 24 PRINT

হ্যাটট্রিক করতে চান শতাব্দী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১০ এপ্রিল, ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেছেন, ‘পরপর দুই বার এই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছি। এবারও জয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করতে চাই।’

মঙ্গলবার বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ির প্রশাসনিক ভবনে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ কথা বলেন শতাব্দী রায়।

এ সময় শতাব্দী জানান, গতবারের চেয়েও এবার অনেক বেশি ভোটে জয় পাবেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার মানুষের উন্নয়ন করেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁর একজন সৈনিক হিসেবে তিনি এবারেও জয়ী হবেন বলে আশা করছেন শতাব্দী।

তৃণমূলের এই প্রার্থী আরো বলেন, ‘গত ১০ বছরে এই বীরভূম কেন্দ্রের সংসদ সদস্য হিসেবে আমি আমার সিনেমার নায়িকার তকমা কাটিয়ে বীরভূমের মানুষের কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি। এখানকার মানুষে আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। তাই এবারও মানুষ আমাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।’

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দীর মা লালিমা দেবী মেয়ের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। এ সময় শতাব্দী বলেন, ‘আমার জীবনে আমার মা পয়মন্ত। আমার মা আমাকে যে কাজে আশীর্বাদ করেন, সেই কাজে আমি সফল হবই। তবে এবার শুধু আমার মা নন, সঙ্গে আমার বাবাও এসেছেন। তাই মা ও বাবার আশীর্বাদে আমার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

শতাব্দী রায় আরো বলেন, ‘গত ১০ বছরে বহুবার এই বীরভূম কেন্দ্রের প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় ঘুরেছি। তথাপি আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি। মানুষের এই ভালোবাসাই আমাকে তৃতীয়বারের মতো বীরভূম কেন্দ্র থেকে দিল্লি পাঠাবে। আমি এই বীরভূমের মানুষের ভালোবাসার প্রতি ঋণী।’

তবে এবার প্রচারের ময়দানে নেমে স্থানীয় কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাসহ একাধিক সমস্যার কথা উঠেছে। এ সব কারণে বিক্ষিপ্ত কিছু বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন শতাব্দী। তবে সেসব ঘটনাকে আমলে না দিয়ে শতাব্দী বলেন, ‘আমি ফের ক্ষমতায় গেলে সবার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখব, কথা দিচ্ছি। পাশাপাশি গত ১০ বছরে যদি সামান্য কোনো ভুলত্রুটিও থেকে থাকে, তা সংশোধন করে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.