Sylhet Today 24 PRINT

ক্যাসিনো কাণ্ড: শিল্পীদের অপরাধ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে সমিতি

বিনোদন ডেস্ক |  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পুলিশের হাতে আটক ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, টেন্ডার পেতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের ব্যবহার করতেন তিনি! যদিও গণমাধ্যমে কোনো নায়িকার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আকার-ইঙ্গিতে উঠে আসছে নায়িকা রত্না, মিষ্টি জান্নাত, রাহা তানহা খান ও শিরিন শীলার নাম।

বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘এখনো পুলিশ কোনো নায়িকার নাম প্রকাশ করেনি। অথচ গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। যদি চলচ্চিত্রের কোনো শিল্পী এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেহেতু পুলিশ কারো নাম প্রকাশ করেনি, তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা নিউজ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমাদের চলচ্চিত্রের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকবে।’

এ বিষয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘আমি কেন এসব কাজের সঙ্গে জড়িত থাকব। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ এসব রটাচ্ছে। অভিযোগকারীরা যদি প্রমাণ না দিতে পারে, তবে আমি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

নায়িকা রত্না বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি সিনেমায় এসেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। এসব বর্ণনার কিছুটা আমার সঙ্গে মিলে গেলেও প্রতিবেদনে আমার নাম নেই। তা ছাড়া আমি জি কে শামীম নামে কাউকে চিনি না। আমি কোনোরকম অবৈধ কাজে কখনো জড়িত ছিলাম না। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে যে শাস্তি দেওয়া হবে, আমি মাথা পেতে নেব। আমি আমার জায়গা থেকে সৎ। সততার সঙ্গে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি।’

রাহা তানহা খান বলেন, ‘আমার মনে হয় নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য কেউ নায়িকাদের নাম ব্যবহার করছেন। এর আগেও দেখেছি, কেউ কোথাও ধরা পড়লে সেখানে নায়িকার নাম জুড়ে দেন। নায়িকা হওয়ায় অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে। সেলফি তুলতে পারি। তাই বলে সেই লোকের অপরাধের দায় আমার না। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছি। কারণ, আমি জি কে শামীম নামে কাউকে চিনতাম না। গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, সেটা ভিত্তিহীন। আমি কখনো কারো অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।’

এ ব্যাপারে শিরিন শীলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.