সিলেটটুডে ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
বরিশালের নাট্য সংগঠন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার প্রদত্ত ‘গিয়াস-মিলন নাট্যপদক-২০১৯’ পেয়েছেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও নাট্যমঞ্চ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) শব্দাবলী নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যায় তার হাতে এ পদক তুলে দেন অতিথিরা। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ পদক প্রদান করা হয়।
সন্ধ্যা সড়ে ৬ টায় শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার প্রাঙ্গণ বরিশালে উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়ের প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এমপি। আর উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়জিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতি সৈয়দ দুলাল।
শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার বরিশালের অন্যতম নাট্য সংগঠক গিয়াস উদ্দিন ও এনায়েত হোসাইন মিলনের স্মৃতি স্মারক হিসেবে গত ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের একজন নাট্যজনকে মনোনয়ন করে এ পদক প্রদান করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে এ পদক প্রদানের জন্য রজত কান্তি গুপ্তকে মনোনয়ন করা হয়। এর আগে গত ২০১৮ সালের পদকের জন্য মনোনয়ন করা হয়েছিলো রংপুর নাট্য কেন্দ্রের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মুরাদকে। কিন্তু পদকের জন্য মনোনীত করা হলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তার পদকটিও একই দিনে প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, রজত কান্তি গুপ্ত ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসে তার বন্ধু চঞ্চলের মাধ্যমে নাট্যমঞ্চ সিলেটের সাথে কাজ করা শুর করেন। বর্তমানে তিনি সম্মিলিত নাট্য পরিষদের ৫ম বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে দীর্ঘদিন থেকে নাট্যমঞ্চ সিলেটের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। জীবনের প্রথম তিনি বিদ্যুৎ কর রচিত ‘বিড়ম্বিত আর্তনাদ’ নামক মঞ্চ নাটকে কাজ করেন। এযাবৎ তিনি অসংখ্য মঞ্চ ও পথনাটকের ব্যাপক সংখ্যক প্রদর্শনী করেছেন। দিয়েছেন নির্দেশনা। একাধিক মঞ্চ ও পথনাটকে নির্দেশনার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চে করেছেন প্রদর্শনী। পেয়েছেন দিক থিয়েটার প্রদত্ত সেরা সংগঠক পদক। তার অভিনীত মঞ্চনাটক সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ময়নারচর, বিড়ম্বিত আর্তনাদ, দুঃখিনী বাংলার পালা, রঙ্গমালা, কালান্তর, ঝুঁকি, সুখের খোঁজে সুখলাল ও বধ্যভূমি শেষ দৃশ্য।