Sylhet Today 24 PRINT

মাছটির নাম ‘গোলপাতা’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ আগস্ট, ২০২১

সাগরের সবচেয়ে দ্রুতগামী দুটি মাছ সেইল ফিশ ধরা পড়েছে বঙ্গোপসাগরের জেলেদের জালে। পিঠের পাখনার আকৃতির কারণে জেলেরা এটিকে ‘গোলপাতা’ মাছ বলে থাকেনন।

গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শহরের পূর্ব মাছ বাজারে বিক্রির জন্য এ সামুদ্রিক মাছ তোলা হয়। বড় আকারের মাছ দুটির ওজন ১০৭ কেজি।

গলাচিপা মাছবাজারের সভাপতি মো. চুন্নু মৃধা বলেন, বাজারে এর আগে গোলপাতা মাছ এলেও এত বড় মাছ আর কখনো আসেনি। তাই মাছ দেখতে উৎসুক অনেক মানুষ বাজারে ভিড় করেছিলেন।

বাজারে মাছ দুটি বিক্রির জন্যে নিয়ে আসেন সাগর মাঝি নামের একজন জেলে। তার বাড়ি উপজেলার গোলখালী গ্রামে। তিনি জানান, উপকূল–সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বুধবার তাদের জালে এই মাছ দুটি ধরা পড়ে। প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের মাছ দুটির একটির ওজন ৫৭ কেজি। অন্যটির ওজন ৫০ কেজি। বু

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম জানান, সেইল ফিশ Istiophorus platypterus প্রজাতির মাছ। এটি সাগরের সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছ। ঘণ্টায় ৬৮ মাইল গতিতে ছুটতে পারে। এরা মাংসাশী। একেকটির দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ১১ ফুট হয়। ওজন হয় ১২০-২২০ পাউন্ড। এর দুটি প্রধান উপ-প্রজাতি আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক। সাধারণত ২১-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে এরা বাস করে।

তিনি আরও জানান, সেইল ফিশের পেটের নিচের অংশ সাদার সঙ্গে নীল থেকে ধূসর রঙের হয়। দর্শনীয় ডোরসাল বা পিঠের পাখনা গোলপাতার মতো হওয়ায় স্থানীয়ভাবে এটিকে গোলপাতা মাছ বলা হয়। এদের পিঠের পাখনা প্রায় দেহের সমান দৈর্ঘ্য প্রসারিত করে এবং তাদের দেহ মোটা হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি পাতলা ও লম্বাটে। এদের ওপরের চোয়াল আছে, যা নিম্ন চোয়ালের বাইরে ভালোভাবে বেরিয়ে আসে এবং একটি স্বতন্ত্র বর্শা গঠন করে। এটা দিয়ে এরা মাছ শিকার করে খায়। এদের সাগরপৃষ্ঠের কাছাকাছি পাওয়া যায়। সাধারণত এরা সার্ডিন ও অ্যাঙ্কোভিসের মতো ছোট মাছ শিকার করে। এরা স্কুইড ও অক্টোপাসও শিকার করে খায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.