Sylhet Today 24 PRINT

নাফিসা : প্রবাসে বাংলার অহংকার, গর্ব

আফরোজা আক্তার |  ০৫ জুন, ২০১৬

বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ জীবনের শুরু থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি কাজের বন্দোবস্ত থাকাটা সত্যই জরুরী। এতে করে একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি তারা নিজেদেরকে পরবর্তীতে প্রফেশনাল জীবনের জন্য তৈরি করার সুযোগ পায়। আর সেই কাজ যদি হয় তাদের নিজেদের বিষয় সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ যে যেই বিভাগে পড়াশুনা করছে, সে যদি তার বিভাগীয় কোন অধ্যাপকের সাহচর্যে কাজ করার সুযোগ পায় তাহলে তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান বৃদ্ধি পাবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে শিক্ষা বছর শুরু হয় সেপ্টেম্বরে এবং শেষ হয় এপ্রিলে। মাঝের এই চার মাস সময়কে এরা সামার হিসাবে কাউন্ট করে। এ সময়টায় ছাত্রছাত্রীরা সামার-জব করে তাদের পরবর্তী শিক্ষা বছরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ আবার জব করার পাশাপাশি সামার স্কুলেও যায়। এই সামার জব করতে ছাত্রছাত্রীরা এক শহর থেকে অন্য শহরেও চলে যায়।

বছরের এই চার মাস সময়কে আনন্দদায়ক করতে এসমস্ত দেশে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। বিভিন্ন এমিউজমেন্ট পার্কগুলো মোটামুটিভাবে পরিচালিত হয় এই ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। পর্যটক অধ্যুষিত এলাকা নায়াগ্রা ফলস, অটোয়া পার্লামেন্ট ভবন, ডাউন টাউন টরন্টো ইত্যাদি এলাকায় অবস্থিত খাবারের দোকানগুলো পরিচালিত হয় মোটামুটি ৯০ ভাগ ছাত্রছাত্রী দ্বারা। তাছাড়া বিভিন্ন লাইব্রেরি, হাসপাতাল, যাদুঘর ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানেও ছাত্রছাত্রীরা কাজ করে।

এবছর সামার জবকে আরও বেগবান করতে কানাডার তরুণ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিশেষ উদ্যোগ হাতে নেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের কাজ পেতে সাহায্য করতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেন, আর্থিকভাবে সাহায্যের পরামর্শ দেন। Trudeau noted, help youth get the experience they need to start their careers, pay for ongoing education, and build self-reliance.

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সামার জবকে উৎসাহিত করতে গত সপ্তাহে পরিদর্শন করেন CHEO(Children's Hospital of Eastern Ontario) Research Institute। সেখানে আমাদের বাংলাদেশি মেয়ে 'নাফিসা' বর্তমানে পিএইচডি ছাত্রী হিসাবে কর্মরত আছে। নাফিসা ক্যানাডার নাগরিকও। এই প্রতিষ্ঠানে নাফিসা অন্টারিও সামার জব প্রোগ্রামে একজন প্রথম বর্ষের ছাত্রী 'সোফি'কে গবেষণার কাজে সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিদর্শন কালে নাফিসা এবং সোফি তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা করে বোঝায়।

নাফিসা ইউনিভারসিটি অফ অটোয়া থেকে 'বায়োক্যামিস্ট্রি'-তে গ্রাজুয়েশন করেছে। তারপর মাস্টার্স ডিগ্রি শুরু করেছিল 'স্যেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসিনে'। বর্তমানে নাফিসা 'স্যেলুলার এন্ড মলিকুলার' নিয়ে পিএইচডি করছে ইউনিভারসিটি অফ অটোয়াতে। তিন বোনের মধ্যে নাফিসা বড়। নাফিসার বাবা ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাশনাল ডিফেন্সে আই টি ডিপার্টমেন্টে কর্মরত আছেন এবং মা প্র্যাক্টিকাল নার্স হিসাবে একটা লং টার্ম কেয়ারে কর্মরত।

নাফিসার মতো মেয়েরা আমাদের গর্ব, বাংলাদেশের অহংকার। তার দেখাদেখি অন্য ছেলেমেয়েরাও সাফল্যের শীর্ষে যাক, বাংলাদেশের সুনাম বহির্বিশ্বে বৃদ্ধি করুক, সেই কামনাই করি আমরা সকলে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.