Sylhet Today 24 PRINT

করোনা টিকার চতুর্থ ডোজে ‘অ্যান্টিবডি বাড়ে ৫ গুণ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৬ জানুয়ারী, ২০২২

করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর ওই ডোজটি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়ায় বলে এক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেবা মেডিকেল সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে বেনেট বলেন, ‘চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হওয়ার পর এক সপ্তাহে, আমরা উচ্চমাত্রার নিশ্চয়তাসহ জেনেছি যে চতুর্থ ডোজ শরীরের জন্য নিরাপদ।’

ইসরায়েল জুড়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সেবা মেডিকেল সেন্টার নিজেদের কর্মীদের মাঝে পরীক্ষামূলক দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বেনেট বলেন, ‘খবরের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে আমরা জেনেছি যে চতুর্থ ডোজ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর আমরা টিকা দেওয়া ব্যক্তির অ্যান্টিবডির সংখ্যা পাঁচগুণ বাড়তে দেখেছি।’ অ্যান্টিবডি বাড়ায় তা সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি ও গুরুতর লক্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়াবে বলেও মনে করছেন বেনেট।

কোভিড-১৯ টিকার প্রভাব নিয়ে গবেষণায় ইসরায়েল নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। বছরখানেক আগেই তারা জনসংখ্যার বেশিরভাগ অংশকে টিকার দুই ডোজ দিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের যে দেশগুলো সবার প্রথমে নাগরিকদের বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দিয়েছে ইসরায়েল তার মধ্যেও আছে। দেশটি এখন ষাটোর্ধ্ব, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীদের টিকার চতুর্থ ডোজ দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে, অন্যদের বুস্টার ডোজ পাওয়ার আগে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া উচিত।

২৭ ডিসেম্বর থেকে সেবা মেডিকেল সেন্টার চার-পাঁচ মাস আগে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক নেমে গেছে এমন দেড়শো স্বাস্থ্যকর্মীকে ফাইজার ও বায়োএনটেকের চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে অন্য এক গ্রুপকে চতুর্থ ডোজ হিসেবে মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, বলেছে তারা। চতুর্থ ডোজ পাওয়া কয়েকজন এখন পর্যন্ত যেসব হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন, তার সঙ্গে তৃতীয় ডোজের পর দেখা দেওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে ব্যথা, জ¦র, মাথাব্যথা, বলেছে হাসপাতালটি।

গত বছর নভেম্বরে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর দ্রুত এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১২৮টি দেশে ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গেছে বলে দেখাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য-উপাত্ত। ওমিক্রনের কারণে রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিমাণ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেললেও হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার মহামারীর অন্যান্য পর্যায়ের তুলনায় অনেক কম দেখা যাচ্ছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.