Sylhet Today 24 PRINT

ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে আরও দু’দিন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

সোমবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবলে (সি-মিই-উই-৪) সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় সারাদেশে ইন্টারনেটে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। এ ধীর তি মঙ্গলবারসহ মোট তিন দিন থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) নতুন দায়িত্ব নেওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সি-মিই-উই-৪ বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা আরও দু'দিন বন্ধ থাকবে। এর ফলে আরও দু'দিন ইন্টারনেটের গতি কম থাকতে পারে। গত ১২ বছরে প্রথম সাবমেরিন কেবল পুরোপুরি বন্ধ রাখার এটাই প্রথম ঘটনা বলেও তিনি জানান।

মশিউর রহমান আরও বলেন, সম্ভাব্য অবস্থার কথা বিবেচনা করে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল দিয়ে ১৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারত থেকে ভূমিপথে আসা টেরিস্ট্রিয়াল কেবল দিয়েও অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ আনছে আইটিসি কোম্পানিগুলো। তিন দিনে খুব একটা ব্যান্ডউইথ সংকট সৃষ্টি হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে একাধিক ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সব প্রস্তুতির পরও তিন দিন দেশে বর্তমানের স্বাভাবিক চাহিদার (৪৩০ জিবিপিএস) তুলনায় অন্তত ৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ফলে সোমবার মধ্যরাত থেকেই ইন্টারনেটে ধীরগতি শুরু হয়ে যায়।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, বর্তমানে প্রথম সাবমেরিন কেবল থেকে মোট চাহিদার ২৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর আইটিসি কোম্পানিগুলো ভারত থেকে ভূমিপথে আনছে আরও ১৮০ জিবিপিএস। দ্বিতীয় সবমেরিন কেবল দিয়ে এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে ব্যান্ডউইথ পরিবহন হচ্ছে না, ফলে এর সক্ষমতার বিষয়টি সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাকিম জানান, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে বাংলাদেশের এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়ার কথা। এ পরিমাণ বা এ সক্ষমতার তিন ভাগের একভাগ ব্যান্ডউইথ কুয়াকাটা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা সম্ভব হলে সংকট হওয়ার কোনো শঙ্কা থাকত না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.