Sylhet Today 24 PRINT

আর কিছুদিন এখানে থাকলে মরেই যাব : আইএস থেকে ফিরতে যুবকের আকুতি

সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক |  ১০ অক্টোবর, ২০১৫

ফাইল ছবি

‘‘আর পারছি না! আমাকে যে ভাবেই হোক, যত তাড়াতাড়ি হোক, দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। হাঁফিয়ে উঠেছি। খুব বোমা পড়ছে। এ দিক ও দিক থেকে ছুটে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র। আর কিছু দিন এখানে থাকলে, হয়তো মরেই যাব!’’

দিন দু’য়েক আগেও সিরিয়া থেকে এই টেলিফোনটি এসেছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে পরিবারের লোকজনের কাছে। গত এক সপ্তাহে সিরিয়ার নানা জায়গা থেকে অন্তত বার চারেক এমন টেলিফোন এসেছে ওই পরিবারের কাছে।

সিরিয়া থেকে বারে বারে তার বাবা-মাকে এমন টেলিফোন যে করে চলেছে, ২৮ বছরের সেই যুবক ছ’মাস আগে প্রচুর অর্থ আর ‘বিলাসবহুল জীবনে’র হাতছানিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গি হতে পৌঁছে গিয়েছিল তুরস্কে। সেখান থেকে সে চলে যায় সিরিয়ায়। রাক্কায় গিয়ে সে দিন দশেক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করে, মাথা ঘুরে গিয়ে বিছানায় পড়েছিল বেশ কিছু দিন।

স্বপ্ন ছিলো মোটা মাইনের। বিলাসবহুল জীবন। এখানে ওখানে নিখরচায় বিমান যাত্রা। মিলবে সুন্দরী ইরাকি, সিরিয় বা, তুর্কি যুবতী। আর, দেশে ফেলে আসা পরিবারের লোকজনের জন্য প্রচুর দিনার। এই সবের হাতছানিতেই আজমগড় থেকে তুরস্কে পাড়ি দিয়েছিল ওই যুবক।

দিল্লি থেকে ইস্তানবুল আর ইস্তানবুল থেকে রাক্কায় যাওয়ার বিমান-ভাড়ার টাকাটা বন্ধু-বান্ধব আর প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ধার করে জোগাড় করেছিল সে। গিয়েছিল আইএস জঙ্গি হতে। ‘যোদ্ধা’ হতে। ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্কের বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করতে।

কিন্তু, ছ’মাসেই ‘স্বপ্ন’ ছুটে গিয়েছে আজমগড়ের উচ্চমাধ্যমিক স্তর পেরনো যুবকের! মরে যাওয়ার ভয়ে এখন সে দেশে ফিরে আসতে পারলেই বেঁচে যায়! কিন্তু, পালিয়ে আসতে পারছে না। তাকে নজরে নজরে রেখেছে আইএসের মেজর, কর্নেল, কমান্ডাররা।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.