Sylhet Today 24 PRINT

বেআইনি অর্থ লেনদেনের অভিযোগ বৈশ্বিক কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এইএসবিসি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মতো কয়েকটি বৈশ্বিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন ও প্রতারকদের অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। দুই হাজারের বেশি ফাঁস হওয়া নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বাজফিড নিউজ জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো সব ‘জেনেশুনে’ এই কাজ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সাসপিসিয়াস অ্যাক্টিভিটি রিপোর্ট’স বা এসএআর’স-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাজফিড নিউজ ফাঁস হওয়া নথিগুলো সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিআইজের সঙ্গে শেয়ার করেছে। এরপর বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাজফিড নিউজ ২ হাজার ১০০’র বেশি নথি হাতে পেয়েছে। সব মিলিয়ে আইসিআইজে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করা হয়েছে।

নথিগুলোতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি ব্যাংকের নাম বেশি এসেছে: এইচএসবিসি, জেপিমরগান, ডয়চে ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ব্যাংক অব নিউইয়র্ক মেলন (বিএনওয়াই মেলন)।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন সরকারের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক লেনদেনের নীতিমালা অনুযায়ী, সন্দেহজনক লেনদেন টের পেলে ৬০ দিনের ভেতর সাধারণত এসএআর’স-তে প্রতিবেদন দিতে হয়। কিন্তু এই ব্যাংকগুলো কখনো কখনো কয়েক বছরের ভেতরেও কাউকে কিছু জানায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো প্রায়ই বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি ডলার ট্রান্সফার করেছে। এক্ষেত্রে তারা আসল মালিকের তথ্য যাচাই করেনি। এই কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ ভেনেজুয়েলা, ইউক্রেন এবং মালয়েশিয়ায়।

এইচএসবিসি রয়টার্সের কাছে দাবি করেছে, ‘আইসিআইজে যে তথ্য সরবরাহ করেছে তার সবগুলো ঐতিহাসিক।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিবৃতিতে বলেছে, ‘অর্থনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা দায়-দায়িত্ব নিয়ে থাকি। পাশাপাশি আমাদের কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রামগুলোতে যথেষ্ট বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.