Sylhet Today 24 PRINT

‘টিকা ছাড়া চাকরি নয়’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নতুন কর্মীদের নভেল করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলো বাধ্য করতে পারবে এমন নীতি আনতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি টিকা নেয়ার বিষয়টি নিয়োগের শর্তের অন্তর্ভুক্ত করা তাদের জন্য আইনগতভাবে বৈধতা পাবে বলেও জানানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে ‘টিকা ছাড়া চাকরি নয়’ নীতি প্রয়োগ করতে পারবে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশটির নতুন এ নীতি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। খবর বিবিসি।

টিকা প্রয়োগের এ নীতি নিয়ে একাট্টা হয়েছে সংস্থাগুলো। এ নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত সরকারকে চাপ দিয়ে চলেছে। তবে নীতিটির বৈধতা দেয়ার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাস্টিস সেক্রেটারি রবার্ট বাকল্যান্ড।

বার্কল্যান্ড বলেছেন, নতুন জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো এ নীতি বাস্তবায়ন করতে পারলেও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বর্তমান কর্মীদের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে পারবে না। আর সেক্ষেত্রেও নতুন কর্মীদের চাকরির চুক্তিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে।

ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, চাকরিতে রাখার ক্ষেত্রে কর্মীদের করোনার টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা তাদের ওপর এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। তবে দেশটির কিছু প্রতিষ্ঠান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, টিকা নিতে অস্বীকার করা কাউকে তারা নিয়োগ দেবে না।

বুধবার দেশটির আইটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বাকল্যান্ড বলেছেন, নতুন কর্মী নিয়োগে টিকা নিতে বাধ্য করার বিষয়টি যদি তাদের চাকরির চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে, তবে প্রতিষ্ঠানগুলো তা করতে পারেন। তবে বিদ্যমান কর্মীরা যদি এ ধরনের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন, তবে নিয়োগকারীদের সম্ভবত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। আমি মনে করি এটা একটা বিষয় হতে পারে। আমরা কর্মসংস্থান চুক্তির বিদ্যমান শর্তাদি নিয়ে কাজ করছি।

বাকল্যান্ড বলেন, মূলত চাকরির শর্ত এবং কোম্পানির সঙ্গে বিশেষ চুক্তির ওপর নির্ভর করবে ‘টিকা ছাড়া, চাকরি নয়’ এ নীতির বৈধতা। তবে এ বিষয়টি পরীক্ষার-নিরীক্ষার আগেই বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হলে বিস্মিত হতে হবে বলেও জানান তিনি।

লন্ডনভিত্তিক সংস্থা পিমলিকো প্লাম্বার বলছে, যারা করোনার টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে তাদের চাকরিতে নেয়া হবে না। এমন অবস্থানের বিষয়ে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চার্লি মুলিন্সের কাছে জানতে চেয়েছিলেন নিয়োগ নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা। মুলিন্স বলেন, তার অবস্থান আইনসংগতভাবেই সঠিক।

শুক্রবার বিবিসি রেডিওকে মুলিন্স বলেন, আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন কর্মীদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আরোপ করায় তারা সন্তুষ্ট।

কেয়ার হোম অপারেটর বারচেস্টার হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। তারা জানায়, নতুন কর্মীদের সবাইকে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। বারচেস্টার বলছে, আমাদের কর্মীদের মধ্যে যাদের এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, আমরা তাদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন কর্মী যারা আসবেন তাদেরও টিকা নিয়ে আসতে হবে। কর্মস্থলে আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্য গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দেখাশোনা করার আগে তাদের টিকা নিতে হবে। যদি সম্ভব হয় তবে তারা তা মেডিকেল থেকে নিয়ে নিতে পারে।

সংস্থাগুলোর এ অবস্থানের কারণে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন লুইস সিলকিন আইন সংস্থার পরিচালক ডেভিড স্যামুয়েল। তিনি জানান, ‘টিকা ছাড়া, চাকরি নয়’ এটাকে বন্ধ করার কোনো আইনগত বাধা নেই। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের নীতি চালু করার আগে প্রতিটি কাজের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে হবে এবং এর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তরুণরা। কারণ তারা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রেও লাইনের শেষদিকে রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.