Sylhet Today 24 PRINT

রক্তাক্ত মিয়ানমার : একদিনেই ১৭ জন নিহত

সিলেটটুডে ডেস্ক  |  ১৫ মার্চ, ২০২১

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার বিরোধী চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

রবিবার (১৪ মার্চ) একদিনেই আরো ১৭ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সেখানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াংগুনের দরিদ্র ও শিল্পাঞ্চলীয় এলাকায় অন্তত ১৪ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দেশের বাকি অংশে আরো তিন জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানিয়েছে, এদিন নিহত হওয়াদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও আছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখন অবধি যে কয়েকটি দিন ভয়াবহ রক্তাক্ত হয়েছে তার মধ্যে এটি একটি।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইয়াংগুনের হ্লাইংথায়া জেলার দরিদ্র এলাকাগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি গুলি চালিয়েছে। পুরো দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটি এদিন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।

হ্লাইংথায়া হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গুরুত্বর আহত লোকজনকে এখনো হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এদিকে, জেলাটিতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এমআরটিভি। তবে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। কারাবন্দি করা হয় দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশ নেতাকে। দেশজুড়ে আগামী এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

পরবর্তীতে জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে নেমে আসে মিয়ানমারের সর্বস্তরের জনতা। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে প্রায় ১০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ২ হাজারের বেশি মানুষকে। এ ছাড়া পুলিশি হেফাজতে সু চির দলের আরও দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.