Sylhet Today 24 PRINT

দিল্লি লকডাউনের সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ১৯ এপ্রিল, ২০২১

ভারতে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। প্রতিদিনই শনাক্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। রাজধানীসহ প্রতিটি রাজ্যেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে আরও ২৫ হাজার ৪৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সোমবার রাত থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লিতে হাসপাতালে ১০০টিরও কম আইসিইউ বেড খালি আছে।

প্রথমে সাত দিনের কারফিউ জারির ঘোষণা করা হলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে লকডাউনের কথা জানান কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য এই ছোট লকডাউন। যেভাবে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে তার জন্য এর প্রয়োজন ছিল।’

দিল্লির বাইরে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলোতেও ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিটি রাজ্যেই অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বারবার কেন্দ্রের কাছ থেকে অক্সিজেন চাইছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও জানিয়েছেন, অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি রাজ্য থেকে একই রিপোর্ট আসছে। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২২ এপ্রিল থেকে শিল্প ক্ষেত্রে অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না। সেই অক্সিজেন হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে। তবে ওষুধ, পরমাণু চুল্লির মতো নয়টি জরুরি জায়গায় আগের মতোই অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে।

করোনার এই বাড়বাড়ন্তে হাসপাতালগুলোতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধ। সব হাসপাতালেই আইসিইউ ভর্তি হয়ে আছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সেগুলোকে পুরোপুরি করোনার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। তাতে অসুবিধা থাকলে একটা বড় অংশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে।

করোনা রোগীদের অনেক হাসপাতালে রেমডেসিভির দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ইঞ্জেকশনও পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনেক রাজ্যই সমানে তা চাইছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রচুর পরিমাণ রেমডেসিভির উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তারপরই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী থানায় হাজির হয়ে বলেন, এটা দলীয়ভাবে সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছিল।

এবার কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন বা কোনও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে না। তারা রাজ্যগুলোকে বলছে, কড়া ব্যবস্থা নিতে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যই এখন রাতে কারফিউ জারি করছে। বিহার, রাজস্থান, তামিলনাড়ু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব স্কুল, সিনেমা হল, ধর্মস্থান, শপিং মল বন্ধ থাকবে। রাজস্থানে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, গোয়ার মতো রাজ্য থেকে তাদের রাজ্যে এলে ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীর হাতে তার জন্য বিশেষ ছাপ মেরে দেওয়া হবে। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া কাউকে রাজ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না। তবে রাজ্যগুলির আশঙ্কা, করোনা-সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন কুম্ভমেলা ফেরত লোকজন। মহারাষ্ট্র সরকার এরইমধ্যে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। অন্য রাজ্যগুলোও এ নিয়ে চিন্তিত।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.