Sylhet Today 24 PRINT

গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইন স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৭ অক্টোবর, ২০২১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত সংক্রান্ত বিতর্কিত আইনটি সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। এই আইনের মাধ্যমে টেক্সাস প্রদেশে নারীদের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। খবর বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ রবার্ট পিটম্যান এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে বিতর্কিত আইনটির প্রয়োগ রোধ করার জন্য বিচারবিভাগকে অনুরোধ করেছিল জো বাইডেনের প্রশাসন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আইনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন আদালত।

টেক্সাসের নারীদের সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিচারকের এই রায়কে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা গর্ভপাত নিষিদ্ধের এই আইনি উত্থাপন এবং তা পাস করেছিলেন।

প্রদেশটির রাজধানী অস্টিন’র বিচারক পিটম্যান ১১৩ পৃষ্ঠার ওই রায়ে লিখেছেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ‘নারীদের জীবন নিয়ন্ত্রণের জন্য অবৈধভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য আদালত এই রায় থেকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ খুঁজে পাবে। গুরুত্বপূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য এই আইন একদিনের জন্যও অনুমোদন দেবে না তার আদালত।’

এর আগে গত ২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাত করার অধিকারের সমর্থনে ৫০টি রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দেশটির টেক্সাস রাজ্য করা একটি নতুন আইনের বিরোধিতা করে তারা এই সমাবেশের আয়োজন করে। ওই নতুন আইনে গর্ভপাতকে সীমিত করা হয়েছে।

নারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, যদিও আমাকে গর্ভপাতের মতো বিষয়ের কখনো মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে অনেক নারী আছেন যাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু তখন সরকার বা দায়ী পুরুষ কোনো দায়িত্ব পালন করে না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে টেক্সাসে গর্ভপাত বন্ধে করা নতুন আইনের নিন্দা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে নারীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

গর্ভপাত বিরোধীদের আন্দোলনের পর এই আইন করা হয়। ভ্রুণের হৃস্পন্দন শুনতে পারার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। কিন্তু এটি এমন একটি সময় যখন অনেক নারী বুঝতেও পারেন না তারা গর্ভবতী হয়েছেন। তথাকথিত এই ‘হার্টবিট অ্যাক্ট’ ছয় মাসের পর গর্ভপাত করানোর কারণে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য যেকোনো ব্যক্তিকে অধিকার দেয়।

দেশটির চিকিৎসক ও নারীদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো এই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে। যা দেশটির সবচেয়ে নিয়ন্ত্রণমূলক আইন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.