Sylhet Today 24 PRINT

বাংলাদেশ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ভারত

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন এ কথা বলেছেন। এক মাস ধরে বাংলাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে।

নিউজ ডেস্ক |  ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামিলীগ সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোন ধরণের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিলো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এও জানানো হয়েছে বিজেপির সাথে বিএনপির ভাল সম্পর্ক রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন এ কথা বলেছেন। এক মাস ধরে বাংলাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে।

এ বিষয়ে ভারত কোনো ভূমিকা নিতে পারে কি-না? প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র বলেন, 'ভারতের ঘোষিত নীতি হলো, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হস্তক্ষেপ না করা। বাংলাদেশের জনগণই সেখানকার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবেন।' উল্লেখ্য, দ্য ইকোনমিস্টসহ পশ্চিমা কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ভারত সরকারের ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিল।

৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি দিলি্লতে নতুন পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর ভারতের সব মিশনের রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও যোগ দেবেন। তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে একটি রিপোর্ট দেবেন বলে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে।

এদিকে বিবিসি জানায়, ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির কয়েক নেতা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা শেখ হাসিনা সরকারকেই সমর্থন দেবেন। শেখ হাসিনার মতো পরীক্ষিত বন্ধুর পাশ থেকে সরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে একান্ত আলোচনায় তারা এটাও স্বীকার করেছেন, বিরোধী বিএনপির সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে; কিন্তু সেটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক সম্পর্কের বাইরে কিছু নয়।

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত কী ভাবছে- বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। সম্পর্কটা বাংলাদেশের সঙ্গে হলেও শেখ হাসিনা ভারতের ব্যাপারে উদার। কাজেই আমরা তার ওপর আস্থাশীল।

অন্যদিকে, বিজেপির বাংলাদেশ বিষয়ক দায়িত্ব পালন করেন এম জে আকবর। তিনি বলেন, আমারা নিজের দেশ, বাইরের দেশ সবখানে শান্তি চাই। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না। তবে নজর রয়েছে।

অবশ্য মাসব্যাপী সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে ভারতের সরকারে থাকা এ দলের। যে কারণে প্রয়োজন হলে এদেশে জরুরি অবস্থা জারি করাটাকেও তারা যৌক্তিক হিসেবেই দেখছেন।

আট মাস আগে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। যদিও বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। এটাকে রাজনৈতিক যোগাযোগ বলেই দাবি বিজেপির।

 

 

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.