Sylhet Today 24 PRINT

পুরুষদেরকে টাক নিয়ে রসিকতা যৌন হেনস্থার সামিল, আদালতের রায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ১৪ মে, ২০২২

নারীদের তুলনায় পুরুষের মাথায় টাক বেশি পড়ে এবং এ নিয়ে নানা কথাও হজম করতে হয়। তাই একজন পুরুষকে ‘টাক’ বলাটা যৌন হেনস্থার সামিল। সম্প্রতি এমন রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনাল।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, আদালত অনুসন্ধান করে দেখেছে কর্মক্ষেত্রে একজন পুরুষের টাক নিয়ে মন্তব্য করা একজন মহিলার স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্য করার সমতুল্য।

মামালাটি আদালতে গড়ায় টনি ফিন নামক ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার-ভিত্তিক ব্রিটিশ বাং কোম্পানির এক ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্যমে। তিনি ২৪ বছর কোম্পানিতে চাকরি করার পর গত মে মাসে বরখাস্ত হন। তারপর তিনি কোম্পানিকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে দাবি করেন তিনি কারখানার তত্ত্বাবধায়ক জেমি কিং-এর সঙ্গে একটি ঘটনার পর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

আদালত তার চুলের জন্য শোক প্রকাশ করে রায় দিয়েছেন। রায়টি তিনজনের প্যানেল দ্বারা করা হয়েছে।

ফিন আদালতে অভিযোগ করেন, জুলাই ২০১৯ সালে একটি দোকানের কাজ করার সময় কিং তাকে ‘টাক কান্ট’ বলে ডাকেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক জোনাথন ব্রেইনের নেতৃত্বে গঠিত প্যানেলটি তার টাকের ওপর মন্তব্য করা কেবল অপমানজনক নাকি প্রকৃতপক্ষে হয়রানি ছিল তা নিয়ে আলোচনা করেন।

রায়ে বলা হয়েছে, ফিনের মর্যাদা লঙ্ঘন এবং তার জন্য একটি ভীতিকর, প্রতিকূল, অবমাননাকর, অপমানজনক বা আপত্তিকর পরিবেশ তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই শব্দগুলি উচ্চারণ করা হয়েছিল। কিং এর উদ্দেশ্য ছিল ফিনকে হুমকি দেওয়া এবং তাকে অপমান করা। আমাদের বিচারে, একদিকে 'টাক' শব্দের সাথে অন্যদিকে যৌনতার সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। আমরা এটি সহজাতভাবে যৌনতার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করি।

তাই ট্রাইব্যুনাল এটাই নির্ধারণ করে যে, অভিযোগকারীকে 'টাক কান্ট' হিসাবে উল্লেখ করে মি. কিং এর আচরণ অবাঞ্ছিত ছিল, এটি দাবিদারের মর্যাদার লঙ্ঘন ছিলেএবং তার জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। এটি দাবিদারের লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফিনের ক্ষতিপূরণ পরবর্তী তারিখে নির্ধারণ করা হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.