সিলেটটুডে ডেস্ক | ০৩ জুন, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ওডিশায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশিও থাকতে পারে, এই শঙ্কা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশিদের জন্যে একটি হটলাইন চালু করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি যাত্রী এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। এ কারণে উপহাইকমিশন দুর্ঘটনাবিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হটলাইনের কথা জানায়।
কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৯ শতাধিক যাত্রী। সর্বভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
উপহাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য এ ট্রেনটিতে যাতায়াত করেন। তাই দুর্ঘটনার পর ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ ও ওডিশা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ওডিশায় ভয়াবহ ওই রেল দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, চেন্নাইগামী করমন্ডল ট্রেনটির কয়েকটি বগি বালেশ্বর এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে পড়ে যায়। এ সময় পাশের এই লাইন দিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে আসছিল কলকাতাগামী একটি ট্রেন। ট্রেনটি এসে করমন্ডলের পড়ে যাওয়া বগিগুলোতে সজোরে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনায় করমন্ডলের ৩০টি বগি আর অপর ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের আন্তঃরাজ্য যোগাযোগের জন্য ট্রেন খুবই জনপ্রিয়। তবে তাদের রেলযাত্রার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ট্র্যাজেডি। ১৯৮১ সালের জুনে বাগমতী নদীতে ট্রেন ছিটকে পড়ে ৯০০ জন নিহত হয়েছিলেন।
১৯৯৯ সালের আগস্টে পশ্চিমবঙ্গে ব্রহ্মপুত্র মেইল নামে ট্রেন লাইনচ্যুৎ হয়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ইন্দর-পাটনা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১৫০ জন এবং ২০১৭ সালের আগস্টে মুজাফফরনগরে ট্রেন লাইনচ্যুৎ হয়ে ২৩ জন নিহত হন। এ ছাড়া ভারতজুড়ে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়।