Sylhet Today 24 PRINT

পত্রিকায় চাকরি পেয়েছেন বরিস জনসন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ জুন, ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’তে ব্যাপক সমালোচনায় পদত্যাগের পর নতুন চাকরি পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

শুক্রবার ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকেই এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে। কলামিস্ট হিসেবে কাজ করবেন জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বরিসের পূর্ণ-পৃষ্ঠার কলাম প্রতি শনিবার ডেইলি মেইলে প্রকাশ করা হবে। আপনি বরিসের অনুরাগী হোন বা না হোন, আপনাকে তা পড়তেই হবে।

বরিস জনসন পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তিনি। কাজ করেছেন ডেইলি টেলিগ্রাফেও। এমনকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েকদিন আগেও ডেইলি টেলিগ্রাফে কলাম লেখেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ওঠে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সে সময় করোনা মোকাবিলায় চলছিল লকডাউন। কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করেছিলেন। আর এই পার্টি নিয়ে তিনি ইচ্ছা করেই পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বলে জানায় সংসদীয় তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরব্যাপী তদন্তের পর কমিটি জানিয়েছে, বরিস জনসন যদি গত সপ্তাহে পদত্যাগ না করতেন, তাহলে পার্লামেন্টকে পুনরায় অবমাননার দায়ে ৯০ দিনের জন্য এমপি পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হতো।

এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এমপি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন। তার পদত্যাগের ঘোষণার আগে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ওই প্রতিবেদনটি অসত্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট।

সংসদীয় কমিটি বলছে, ‘আমরা উপসংহারে পৌঁছেছি যে ইচ্ছা করেই পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে গুরুতর অবমাননা করেছেন বরিস জনসন। এটি আরও গুরুতর, কারণ সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। কোনো প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন—এমন কোনো নজির নেই।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.