ওয়েব ডেস্ক | ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর 'ব্যবস্থাপক' হিসেবে কাজ করে আসছে। এমনকি তারা জঙ্গি সংগঠন আইএসের উত্থানের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক উপ-সম্পাদকীয়তে এমন মন্তব্য করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দেওয়া নানা তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তালেবানের পৃষ্ঠপোষক। তারা শুধু আফগানিস্তানে নয়, বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাতেও নাক গলিয়ে থাকে। পিটিআই।
পত্রিকাটিতে বলা হয়, 'পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মুজাহিদিনদের সহায়তা করে আসছে। তাদের মধ্যে সুনি্ন চরমপন্থি দলগুলোও রয়েছে। এমনকি আইএসের উত্থানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে করা হয়।'
পাকিস্তান সব সময় তালেবান ও আল কায়দাকে সহায়তার কথা অস্বীকার করে থাকে। তারা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের শিকার এমন কথাও বলে। তবে অনেক বিশ্লেষক তথ্য-প্রমাণসহ হাজির করেন, কীভাবে দেশটি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার কথাও বলা হয়েছে। হামলা প্রসঙ্গে এক মার্কিন নাগরিক আদালতে বলেছেন, মুম্বাই হামলার আগে পাকিস্তান আরও অন্তত দু'বার চেষ্টা করেছিল ওই হামলা চালাতে। তবে দু'বারই তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের উত্তর আফ্রিকা প্রতিনিধি কারলোত্তা গল বলেন, পাকিস্তান কোনোভাবেই চায় না তাদের চিরশত্রু ভারত আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করুক। তারা দেশটিকে জঙ্গিদের ক্যাম্প হিসেবেই দেখতে চায়। এ জন্য খুব সাবধানে বেছে বেছে তালেবান গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানকে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য রাজি করিয়েছে। তবে আফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, ইসলামাবাদ আসলে তালেবানের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। পাকিস্তানের প্রশ্রয় না থাকলে তাদের নাকের ডগায় বসে আফগানিস্তান সীমান্তে কীভাবে জঙ্গিরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নও তোলা হয় পত্রিকাটির নিবন্ধে। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিসহ শীর্ষ জঙ্গি নেতারা পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।