Sylhet Today 24 PRINT

লাহোর হামলার পর কয়েকশ\' গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক |  ২৯ মার্চ, ২০১৬

লাহোরে একটি পার্কে রোববারের আত্মঘাতী বোমা হামলার দু'দিন পর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল রাহীল শরিফ পাঞ্জাব প্রদেশে বড় ধরনের এক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন।

ওই হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়। এর মধ্যে অনেকেই ছিল পার্কে বেড়াতে আসা পরিবারগুলোর লোকজন এবং শিশুরা।

পাঞ্জাবের পাঁচটি বড়ো শহরে চালানো সেনা অভিযানে সন্দেহভাজন কয়েকশো লোককে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। খবর বিবিস বাংলার।

পাকিস্তানি তালেবান থেকে দলছুট একটি গ্রুপ জামায়ত-উল আহরার দাবি করেছে, তাদের এই হামলার লক্ষ্য ছিলো সংখ্যালঘু খ্রীস্টান সম্প্রদায়, কিন্তু এতে বহু মুসলিমও প্রাণ হারিয়েছেন।

রোববার লাহোরে গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহীল শরিফ দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠেন এবং পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গীদের সন্দেহজনক ঘাঁটির ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেন।

bombing_in_lahore_

রোববারের ওই হামলা বহু লোক আহত হয়

গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী এই অভিযান চালানো হচ্ছে এবং সরকারি আধাসামরিক বাহিনী এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

দেশের বেসামরিক প্রশাসনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়াই সেনাপ্রধান এই অভিযান চালানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

সোমবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরীফ দেশবাসীকে এই কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদের কাঠামো ধ্বংস করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে।

কিন্তু ঐ ভাষণে তিনি কোন সেনা অভিযানের কথা উল্লেখ করেন নি।

পাঞ্জাব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ এবং এটি মি. শরীফের অন্যতম রাজনৈতিক ঘাঁটি।

পাঞ্জাব-ভিত্তিক জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে তাই মেনে নেয়া ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শরীফের সামনে কোন পথ খোলা নেই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.