নিজামীর ফাঁসিতে পাকিস্তান ‘জাতিসংঘে যাবে’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী, আলবদর কম্যান্ডার ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ও অন্যান্য দেশের কাছে তুলে ধরবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ এ কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের 'দৈনিক ডেইলি পাকিস্তান'-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

শুক্রবার (১৩ মে) সিনেটে বক্তব্য দেওয়ার সময় সারতাজ আজিজ বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী নেতাদের ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে আজিজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি দাবি করেন, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তিরও লঙ্ঘন।

এ সময় সিনেটের প্রধান রাজা জাফারুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আর কাউকে ফাঁসি দিতে না পারে, সে জন্য মুসলিম দেশগুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’

এর আগে সিনেট সদস্যরা নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় তুরস্ক ঢাকায় নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নেওয়ার খবরকে স্বাগত জানান। এমনকি এ বিষয়ে পাকিস্তানেরও এমন শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, একাত্তরে আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসিতে উদ্বেগ জানিয়ে  আগেও পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব পাস হয় ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজামীর ‘একমাত্র অপরাধ’ ছিল পাকিস্তানের সংবিধান সুরক্ষা করা। এ ছাড়াও নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন মহল থেকে শোক ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। দেশটির বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে বিভিন্ন সংগঠন।