Sylhet Today 24 PRINT

সুইফট ব্যবহার করে এবার ভিয়েতনামে অর্থলোপাটের চেষ্টা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৬ মে, ২০১৬

বিশ্বব্যাপী আন্তঃব্যাংক লেনদেন মাধ্যম সুইফট প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে ভিয়েতনামের তিয়েন ফং (টিপি) ব্যাংকের অর্থ চুরির চেষ্টা হয়েছিল বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।

হ্যানয়ভিত্তিক এই ব্যাংকটি রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গতবছরের শেষ দিকে এরকম কয়েকটি ভুয়া মেসেজ তারা আবিষ্কার করে, যার মাধ্যমে দশ লাখ ইউরোর বেশি অর্থ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়।  

টিপি ব্যাংকের বিবৃতি থেকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা পদক্ষেপ নেয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ স্থানান্তরের চেষ্টা আটকে দেয়।

“ওই ঘটনায় ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হয়নি। সুইফট সিস্টেম এবং ব্যাংক ও গ্রাহকদের মধ্যে আমাদের যে বিনিময় ব্যবস্থা, তাতেও কোনো প্রভাব পড়েনি,” বলা হয় ওই বিবৃতিতে।

টিপি ব্যাংক বলছে, সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সঙ্গে যুক্ত হতে বাইরের এক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে আলাদা একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছিল তারা। অর্থ স্থানান্তরের ভুয়া আদেশগুলো ওই পথেই করা হয়েছে।

বাইরের সেই প্রতিষ্ঠানের নাম না বললেও টিপি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা আর সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে না। এর বদলে অন্য একটি সিস্টেম তারা ব্যবহার করছে, যার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সরাসরি সুফইট প্ল্যাটফরমে যোগাযোগ করা যায়।

ব্যাংকিং লেনদেনের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক সুইফট টিপি ব্যাংকের ওই ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গত বৃহস্পতিবার সুইফটের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মতো একই কায়দায় একটি বাণিজ্যক ব্যাংকে হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার হামলার কথা তারা জানতে পেরেছেন।

রয়টার্স লিখেছে, ভিয়েতনামের ওই ঘটনা কখন সুইফটকে জানানো হয়েছিল এবং এরপর সুইফট একই ধরনের সাইবার হামলা ঠেকাতে সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে।   

গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাকে বিশ্বের অন্যতম বড় সাইবার চুরির ঘটনা বলা হচ্ছে।

ওই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন রোববার বলেছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মূলত সুইফট দায়ী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি ছিল। আর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার তদন্তে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও বলেছে, সুইফটের টেকনিশিয়ানদের ‘অবহেলার কারণেই’ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুইফট সার্ভার হ্যাকারদের সামনে অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কয়েকদিন আগে সুইফটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কোনো সদস্যের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব নয়। পরে বিশ্বজুড়ে সদস্য ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েও সুইফট একই কথা জানায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.