ইতালিতে আতংকে বাংলাদেশীরা

গুলশানে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ইতালিতে বাংলাদেশীদের ওপর নজরদারী শুরু হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই বিশেষ করে মসজিদগুলোতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনাগোনা বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রবাসীরা।

রোমের একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, 'আমার বাসার সামনের মসজিদেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘুরে গেছেন। তারা বলেছেন আবার আসবেন।'

কম্যুনিটির পক্ষ থেকেও বাংলাদেশীদের সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউসুফ আলী আরও জানান, 'আগের তুলনায় রাস্তায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন বেশি দেখা যাচ্ছে এবং তারা বিভিন্ন ডকুমেন্ট চেক করছে।'

তিনি বলেন, ইতালিতে বাংলাদেশীদের বেশ একটা সুনাম রয়েছে এবং এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশীদের সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

গুলশানের ওই ঘটনার পর থেকে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা আতংকে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

গুলশান হামলায় যে ১৭ জন বিদেশী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্য সর্বোচ্চ ৯ জনই ইতালির নাগরিক।

ওই ঘটনার পর থেকে ইতালির সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আসছে। সেখানে বাংলাদেশের সরকার এবং রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করা হয়েছে।

ইতালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রাই নিউজের সংবাদ বিশ্লেষণে এই হামলার জন্য বাংলাদেশের দুই প্রধান দলকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

এতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডসমূহের ধারাবাহিকতার উল্লেখ করে বলা হয়েছে- 'দোষারোপের রাজনীতিই গুলশানের এই হামলার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে'।

ভেনিসে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাংবাদিক পলাশ রহমান জানিয়েছেন, তিনি স্কাই নিউজের একটি আলোচনা অনুষ্ঠান দেখছিলেন যেখানে বক্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'একনায়ক' এবং বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে 'ইসলামপন্থীদের নেতা' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।