Sylhet Today 24 PRINT

তুরস্কের ৩ লাখ ইমেইল ফাঁস করেছে উইকিলিকস

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২০ জুলাই, ২০১৬

বিশ্বজুড়ে আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একেপি-এর (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) প্রায় ৩ লাখ ইমেইল বার্তা ফাঁস করেছে। এরপর তুরস্কে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। উইকিলিকস বিভিন্ন দেশের গোপনীয় নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যেই আলোচিত।
 
তুরস্কের টেলিকম ওয়াচডগের বরাতে বুধবার এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
 
তুরস্কে গত সপ্তাহে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ক্ষমতাসীন দলের ওয়েব ডোমেইন 'একেপার্টি ডট ওআরজি ডট টিআর' (akparti.org.tr) থেকে পাওয়া ইমেইল বার্তার নথির ফাঁস করেছে উইকিলিকস। ২০১০ থেকে সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের ৬ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফাঁস হওয়া এসব বার্তা ইমেইলে চালাচালি হয়েছে।
 
গত শুক্রবার রাতের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ও এরদোয়ান-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০৪ সেনাসদস্যসহ প্রায় ৩০০ লোক প্রাণ হারান।

উইকিলিকস নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, 'তুরস্কে গত ১৬ জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার আগেই ইমেইল বার্তা সংক্রান্ত নথি তাদের হাতে এসেছে এবং এগুলোর বিষয়বস্তু কোনোভাবেই অভ্যুত্থান চেষ্টা বা প্রতিদ্বন্দ্বী কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।'
 
ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম এবং শিক্ষা খাতে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে তুরস্কের সরকার। চাকরিচ্যুত ও গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন দেশটির ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ।
 
তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সরকারের শুদ্ধি অভিযানের প্রেক্ষাপটে ইমেইল বার্তার নথি প্রকাশের সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে উইকিলিকস।
 
তুরস্কের টেলিকমিউনিকেশন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, "গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও অবৈধভাবে প্রাপ্ত তথ্য' প্রকাশের কারণে উইকিলিকসের ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে।"
 
প্রশাসনের তরফে ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
 
২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক হ্যাকার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে কয়েক লাখ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস। এরপর ধর্ষণের অভিযোগে সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে তিনি লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.