Sylhet Today 24 PRINT

শারীরিক সম্পর্ক থেকে স্বামীকে বঞ্চিত করলেই বিচ্ছেদ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সংসর্গ না হলে তা মানসিক নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য হবে এবং এটি বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণও।

দিল্লি হাইকোর্ট এ-সংক্রান্ত এক শুনানি শেষে এ কথা বলেছে। খবর পিটিআই, আনন্দবাজারের।

আদালতে এক স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে করে বলেন, সাড়ে চার বছর ধরে স্ত্রী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এটা মানসিক নিষ্ঠুরতার শামিল।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত স্বামী যেন ওই স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন এ জন্য একটি ডিক্রি জারি করেন। স্ত্রীও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেননি।

বিচারপতি প্রদীপ নান্দ্রেযোগ ও বিচারপতি প্রতিভা রানির সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ বলেন, 'একই ছাদের নিচে বসবাস করা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করে মানসিক নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। ওই ব্যক্তির কোনো শারীরিক সমস্যা নেই এবং কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই স্ত্রী এ কাজ করেছেন। আমরা তাই ব্যাপারটি বিবেচনায় নিয়েছি।'

যৌনকর্মীরা ধর্ষণ মামলা দিতে পারবে না
এদিকে খদ্দেরের কাছ থকে পারিশ্রমিক না পেলেও তাদের বিরুদ্ধে যৌনকর্মীরা ধর্ষণের মামলা দিতে পারবেন না যৌনকর্মীরা।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দিয়েছেন।

বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ ২০ বছর ধরে চলতে থাকা ধর্ষণের একটি মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে মুক্তি দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণ সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি অভিযোগগুলির সত্যতাও যাচাই করতে হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে ব্যাঙ্গালুরুর কর্নাটক হাইকোর্টে তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক পরিচারিকা।

তিনি জানান, ওই তিনজন তাকে জোর করে অটোতে করে নির্জন একটি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি গ্যারেজের মধ্যে তাকে গণধর্ষণ করে। গ্যারেজটি পরে শনাক্ত করেন ওই মহিলা। প্রাথমিক তদন্তের পর ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বেরিয়ে আসে আসল সত্য।

অভিযোগকারিণীর রুমমেট ও মামলার সাক্ষী এক মহিলার বক্তব্যে প্রকৃত সত্য ওঠে আসে। তিনি জানান, পেশায় পরিচারিকা ওই মহিলা রাতের বেলায় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ওই তিন অভিযুক্তের থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থিক সুবিধাও নেন। ঘটনার দিন মহিলার সম্মতিতেই তাকে ওই গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো তারা টাকা না দেয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা।

বুধবারের রায়ের পর ওই তিন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.