আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ০৩ মে, ২০১৫
শুক্রবার মসুল শহরের পশ্চিমে তাল আফার জেলায় এসব বন্দিকে হত্যা করা হয় বলে ইয়াজিদি প্রগ্রেস পার্টির বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
ওই বিবৃতিতে তিনশ বন্দিকে হত্যার কথা জানানো হয়েছে।
আইএসের হত্যাকাণ্ডের এই খবরকে “ভয়াবহ বর্বরতা” বলে বর্ণনা করেছেন ইরাকি ভাইস প্রেসিডেন্ট ওসামা আল-নুজাইফি।
২০১৪ সাল থেকে ইরাকের সংখ্যালঘু এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্যকে বন্দি করেছিল আইএস। তাদের মধ্য থেকেই এই তিনশ বন্দিকে হত্যা করা হয়।
তবে কীভাবে এবং কেন এখন তাদের হত্যা করা হল তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টন।
২০১৪ থেকে মসুলসহ ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে রেখেছে আইএস। তারপর থেকে মসুল জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এখানেও অনেক বন্দিকে জঙ্গিরা আটক করে রেখেছে বলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
ইয়াজিদিদের ধর্ম অন্যান্য কয়েকটি ধর্মের উপাদান নিয়ে তৈরি। এদের বিধর্মী (কাফের) বলে বিবেচনা করে আইএস।
ইরাকের নিনেভে প্রদেশের ইয়াজিদি অধ্যুষিত সিনজার জেলা ২০১৪ সালে আইএস দখল করে নেয়। আতঙ্কিত হাজার হাজার ইয়াজিদি এলাকা ছেড়ে কুর্দিনিয়ন্ত্রিত উত্তর ইরাকের দিকে পালিয়ে যায়।
পলায়মান ইয়াজিদিদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েক হাজার ইয়াজিদিকে বন্দি করে এবং শত শত ইয়াজিদিকে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা। বন্দি ইয়াজিদি নারীদের যৌনদাসী হতে বাধ্য করা হয়।
বিশ্বজুড়ে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের আনুমানিক ৫ লাখ মানুষ রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই ইরাকের নিনেভে প্রদেশে বসবাস করেন।